সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুরজি প্যাটেল বলেন,”আমাদের নেতা তথা মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বিরুদ্ধে মন্তব্যের জন্য আমরা কুণাল কামরার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।”প্যাটেল আরও বলেন যে কামরার দুই দিনের মধ্যে শিন্ডের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। অন্যথায়, “শিবসৈনিকরা তাঁকে মুম্বইয়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে দেবে না। আমরা এই বিষয়টি বিধানসভায় তুলে ধরব এবং আমাদের রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব,” তিনি বলেন।
advertisement
এর পরপরই, শিব সৈনিকরা কামরার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে প্রতিবাদে সোচ্চার হন রাজপথে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে কুণাল কামরা যে স্টুডিওতে ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে,সেখানে ভাঙচুর চালাচ্ছেন শিবসেনা দলীয় কর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা কৌতুকাভিনেতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে চেয়ার, টেবিল এবং আলো ভেঙে ফেলে। পরে, স্টুডিও ভাঙচুরের জন্য শিবসেনা কর্মীদের বিরুদ্ধেও একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।
এই বিতর্কে শিবসেনার মুখপাত্র কৃষ্ণ হেগড়ে তীব্র নিন্দা করেছেন কামরার মন্তব্যের। তিনি সতর্ক করেছেন যে কুণালকে প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকতে হবে। ‘‘তিনি শিবসেনার মতো প্রতিক্রিয়া পাবেন, কারণ কোনও দলীয় কর্মী আমাদের নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের বক্তব্য সহ্য করবেন না,’’ হেগড়ে বলেন। এখনও ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের প্রতি প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি কৌতুকাভিনেতা। প্রসঙ্গত কৌতুকশিল্পী কুণালের জীবনে বিতর্ক নতুন নয়। রাজনৈতিক শ্লেষ বিদ্রূপ ও ব্যঙ্গের জন্য তিনি পরিচিত। প্রায়ই রাজনীতিবিদ এবং তাদের সমর্থকদের রোষের মুখে তিনি পড়েন। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে একাধিক ভিডিও রয়েছে যেখানে তিনি রাজনৈতিক নেতা,সাংবাদিক এবং সেলেব্রিটিদেরও সমালোচনা করেন। তবে,এবার, প্রতিক্রিয়া আরও তীব্র বলে মনে হচ্ছে। আইনি ব্যবস্থা এবং সোচ্চার প্রতিবাদ তাঁর উপর চাপ আরও বাড়িয়ে তুলছে।
কামরা কি তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেবেন নাকি অনড় থাকবেন তা এখনও দেখার বিষয়।তবে আপাতত,এই বিতর্ক মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার মধ্যে সূক্ষ্ম রেখার বিভাজন নিয়ে আরও একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বলে মত বিভিন্ন মহলের।