এভাবে সকলের ঘরে এসির ব্যবহার আদতে পরিবেশের ক্ষতিই করছে। অনেক বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার আসলে প্রকৃতির ধ্বংসই ত্বরান্বিত হচ্ছে।
কিন্তু গরম থেকে মুক্তির উপায়ই বা কী!
একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই পেয়েছে ঘরোয়া প্রতিকার। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে তাঁর কাণ্ড। আর অনেকেই পছন্দ করে ফেলেছেন এই বিশেষ টোটকা।
advertisement
ওই চিকিৎসক তাঁর গাড়িতে লাগিয়ে নিয়েছেন গোবরের প্রলেপ। যার ফলে গাড়ির ভিতরটা ঠান্ডা থাকছে। মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ডের এক হোমিওপ্যাথিক সুশীল সাগর চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসায় এক অন্য পরীক্ষা করেছেন। গাড়ি ঠাণ্ডা রাখতে গোবর দিয়ে প্রলেপ দেওয়া দিয়েছেন তিনি। ওই চিকিৎসকের দাবি, গোবরের প্রলেপ দেওয়ায় তাপ বাইরে থেকে ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না। গাড়ির ভিতরটা ঠান্ডা থাকে।
আরও পড়ুন : তাপপ্রবাহ কাকে বলে? এপ্রিলের কলকাতা থেকে কি বিদায় নিল বৃষ্টি
সুশীল সাগর, জাড়ুয়াখেড়া আরোগ্য সেতু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত। এলাকার মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই চিকিৎসককে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সুশীল সাগর শহরের তিলকগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তাঁর রয়েছে একটি মারুতি অল্টো ৮০০ গাড়ি। এই গাড়িতেই যাতায়াত করেন তিনি। গত কয়েকদিনে এলাকার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে। খানিকটা স্বস্তি পেতেই তিনি এই ব্যবস্থা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : অসহ্য গরমে খান পাকা বেলের পানা এবং বেলে মোরব্বা, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি এই ফলই
সুশীল সাগর গত ১০ বছর ধরে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করছেন। এর আগেও তিনি খুরাইতে কর্মরত ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি জাড়ুয়াখেড়াতে কাজে যোগ দেন। নিজের গাড়ির গায়ে গোবরের প্রলেপ লাগানো প্রসঙ্গে সুশীল সাগর বলেন, ‘এই প্রলেপ দেওয়ার ফলে সূর্যের রশ্মি সরাসরি গাড়ির গায়ে পড়ে না। এর ওপর গোবরের আবরণ থাকে, যা তাপ শোষণ করে নেয়। তার ফলেই গাড়ির ভিতরের তাপমাত্রা ঠান্ডা থাকে।’ ওই চিকিৎসকের দাবি, এভাবে গাড়ি চালালে খুব আরাম লাগে। পাশপাশি পরিবেশের উপরেও কোনও খারাপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় না।
যানবাহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাড়ির উপরে গোবর লাগিয়ে বাইরের পরিবেশ থেকে আসা তাপ ভেতরে ঢুকতে দেবে না। এতে গাড়ির ভেতরে শীতলতা বজায় থাকবে। আজও গ্রামাঞ্চলে বাড়ির মেঝে ও দেয়ালে গোবর দেওয়া হয়, যার কারণে শীতকালে ঘর গরম থাকে এবং গ্রীষ্মে শীতল থাকে।