টিকা-সহ যে কোনও ইঞ্জেকশনের ক্ষেত্রে নয়ের দশকের গোড়া থেকেই ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করার রীতি৷ এইচআইভি পজিটিভ সংক্রান্ত রোগ ছড়িয়ে পড়া আটকাতেই এই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করা হয় বিশ্ব জুড়ে ৷ তার এত বছর পর মধ্যপ্রদেশের স্কুলে এই ঘটনায় চারদিকে তীব্র সমালোচনার ঝড়৷
আরও পড়ুন : বিরলতম রক্ত মিলল ভারতে! A, B, AB বা O নয় EMM Negative রক্তের হদিশ বৃদ্ধের দেহে
advertisement
এই ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় অভিযুক্ত টিকাকর্মী জিতেন্দ্রকে বলতে শোনা গিয়েছে যিনি তাঁকে টিকাকরণের উপকরণ দিয়েছেন তাঁর কাছ থেকে একটিমাত্র সিরিঞ্জই তিনি পেয়েছেন৷ কিন্তু তিনি কি জানেন না একটি সিরিঞ্জ কেবল একজনের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়? তাঁর উত্তর ‘‘সেটা আমি জানি৷ সেই কারণেই আমি তাঁদের জিজ্ঞাসাও করি যে একটাই মাত্র সিরিঞ্জ আমি ব্যবহার করব কিনা৷ তাঁরা বলেন, হ্যাঁ, একটাই সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে৷’’ এ বার টিকাকর্মীর প্রশ্ন, ‘‘তাহলে এতে আমার দোষ কোথায়? আমাকে যা বলা হয়েছে সেটাই করেছি মাত্র৷’’
আরও পড়ুন : সাসপেন্ডেড সাংসদদের রিলে ধরনায় নৈশভোজে মুরগির মাংস, রুমালি রুটি!
অভিযুক্ত টিকাকর্মী জিতেন্দ্রর নামে এফআইআর দায়ের করেছে সগরের জেলা প্রশাসন৷ জেলার টিকাকরণ আধিকারিক ডক্টর রাকেশ রোশনের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ টিকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ পাঠানোর দায়িত্বে ছিলেন তিনিই৷ দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলাশাসক ক্ষিতীশ সিঙ্ঘল এই ঘটনায় সিএমওএইচ-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন৷ তবে তন্তের সময় হাজির ছিলেন না জিতেন্দ্র ৷ জানা গিয়েছে এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তাঁর মোবাইল ফোনও সুইচড অফ৷
আরও পড়ুন : "আপনার নাম মোদিজি, আপনাকে রোজ টিভিতে দেখা যায়," একরত্তির উত্তরে হেসে ফেললেন মোদি
গত বছর জানুয়ারিতে দেশে কোভিড টিকাকরণ শুরু হওয়ার সময় থেকেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও পরিবার কল্যাণ দফতর বার বার আবেদন করেছে একটা নিডল ও সিরিঞ্জ মাত্র একবারই ব্যবহারের জন্য ৷ হু এবং ইউনিসেফের তরফেও একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ৷ তার পরও স্কুলপড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এই তীব্র অবহেলার ছবি কাঠগড়ায় তুলেছে প্রশাসনকে৷