উত্তরপ্রদেশের তিকমগড়ের মস্তপুর গ্রামের বাসিন্দা কুনওয়ারবাঈ ছিলেন কাজে ব্যস্ত ৷ হঠাৎই কাজের মাঝে ছটফট করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি ৷ সময় কাটতেই আত্মীয়স্বজ্জনরা বুঝে যান, কুনওয়ারবাঈকে সাপে কেটেছে ৷ দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৷ তবে সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ৷ পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয়, কুওয়ারাবাঈয়ের দেহ ময়নাতদন্ত করা উচিত ৷ কিন্তু মর্গে দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য শববাহী গাড়ির বন্দোবস্ত করতে পারে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ অবশেষে ছেলে মায়ের মৃতদেহকে বাইকে চাপিয়েই মর্গে রওনা দেন ৷
advertisement
লটারির লোভে খোয়ালেন ১২ লক্ষ টাকা, প্রতারণার শিকার সরকারি চিকিৎক
হাসপাতাল থেকে মর্গের দুরত্ব ৩৫ কিলোমিটার ৷ এমনকী, ময়নাতদন্তের পর মায়ের মৃতদেহ গ্রামেও ফিরিয়ে আনলেন ছেলে ৷ এই ঘটনা নজরে আসতেই তোলপাড় পড়ে যায় গোটা মধ্যপ্রদেশে ৷ অনেকেই প্রশ্ন করেন মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ৷ গোটা ঘটনার ভিডিও একে একে শেয়ার হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া ৷ ওঠে তুমুল বিতর্ক ৷ বার বারই মনে পড়ে যায় ওড়িশার সেই দানা মাঝির ঘটনা৷