প্রসঙ্গত, বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল প্রকৃত ফলাফল নয়৷ এর সঙ্গে মূল ফলাফল মিলতে না-ও পারে৷ আবার অনেক সময়েই বুথ ফেরত সমীক্ষার সঙ্গে মিলে যায় নির্বাচনের আসল ফলাফল৷ অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ২০২৩ এর নির্বাচনে বিজেপি পেতে পারে ১৪০-১৬২ টি আসন, কংগ্রেস ৬৮-৯০, বিএসপি ০-২ এবং অন্যান্য ০-১৷
advertisement
আরও পড়ুন:‘জ্যোতিপ্রিয়কে কেন মন্ত্রী বলব?’ প্রশ্ন তুলে তুমুল হট্টগোল! বেরিয়ে গেল বিজেপি
টিভি৯ -এর সমীক্ষা বলছে ১০৬-১১৬টি আসন পাচ্ছে বিজেপি, ১১১-১২১টি পেতে পারে কংগ্রেস, ০-৬টি আসন পেতে পারে অন্যান্যেরা৷ রিপাবলিক টিভি-র সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি পেতে পারে ১১৮-১৩০টি আসন, কংগ্রেস ৯৭-১০৭, অন্যান্য ০-২ আসন৷ নিউজ২৪-টুডেস চাণক্য এক্সিট পোল বলছে ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি পেতে চলেছে ১৫১ টি আসন, কংগ্রেস ৭৪টি এবং অন্যান্য ৫৷
ভোটারদের আকর্ষণ করতে মধ্যপ্রদেশে কোনও কসুর করেনি দুই যুযুধান পক্ষ৷ কিন্তু, এক সময় যাকে ‘রেউড়ি রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির, বিজেপির ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশে সেটাই তাদের তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন অনেকে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কন্যাশ্রী’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের’ কায়দায় শিবরাজ ‘লাডলি বহেন যোজনা’৷ যার অঙ্ক ভোটে জেতার পরে ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি৷
এছাড়াও, বিজেপির ইস্তাহারে মহিলাদের জন্য একের পর এক সুবিধার অঙ্গীকার করা হয়েছে৷ কন্যাসন্তানকে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য, উজ্জ্বলা ও লাডলি বহেন যোজনার আওতায় থাকা পরিবারকে ৪৫০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার৷ এমনকি, সরকারি চাকরিতে ৩৫ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেছিলেন শিবরাজ৷ এই সবই ভোটবাক্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা৷ বুথফেরত সমীক্ষাতেও দেখা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির প্রাপ্য ভোটের ৫০ শতাংশই আসতে পারে মহিলাদের কাছ থেকে৷
আরও পড়ুন: ‘জ্যোতিপ্রিয় জেলে, কেন মন্ত্রী বলব?’ প্রশ্ন তুলে তুমুল হট্টগোল! বেরিয়ে গেল বিজেপি
মধ্যপ্রদেশের মোট আসন সংখ্যা ২৩০৷ ম্যাজিক ফিগার ১১৬৷ ২০১৩ সালে তার মধ্যে ১৬৫টি জিতে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি৷ কিন্তু, ২০১৮ সালে পাল্টে যায় পাশা৷ কেন্দ্রে মোদি-রাজ যখন মধ্যগগনে, তখন ১১৪ আসন পেয়ে মধ্যপ্রদেশের কুরশি দখল করে কমলনাথের কংগ্রেস৷ বিজেপি সেবার পেয়েছিল ১০৯টি আসন৷ যদিও ২০২০ সালে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া শিবিরের বিদ্রোহে ক্ষমতা হারাতে হয় মধ্যপ্রদেশের ‘নির্বাচিত’ কংগ্রেস সরকারকে৷ ভোপালের মসনদে বসেন শিবরাজ সিং চৌহান৷ চতুর্থ বারের মতো৷ বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল মিলে গেলে, মধ্যপ্রদেশে পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করবেন শিবরাজ সিং চৌহান৷