তদন্তকারীরা জানিয়েছেন আরশাদের পরিবার নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আগ্রা থেকে লখনউ শহরে এসেছিলেন৷ গোয়েন্দাদের সন্দেহ, আরশাদের বাবা বদরও ছেলের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের চক্রী৷ পলাতক বদরের খোঁজে চলছে তল্লাশি৷
এই ঘটনায় সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে এক তরুণ তাঁর পারিপার্শ্বিককে দায়ী করছেন হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে৷ তাঁর কথায়, তিনি চাননি বোনেরা বিক্রি হয়ে যাক৷ জমি সংক্রান্ত বিবাদের কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে৷ তিনি বলে চলেন, ‘‘বাবার সঙ্গে মিলে আমি মা এবং বোনেদের খুন করেছি৷ আর কী-ই বা করার ছিল আমার? হায়দরাবাদে তাঁদের বিক্রি হয়ে যেতে দেখতাম?’’ ভিডিয়োয় ওই তরুণের দাবি, এইভাবে তাঁদের সম্মান বাঁচানো হয়েছে (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি News18 বাংলা)৷
advertisement
বর্ষবরণের কথা বলে বাবা, মা, চার বোনকে নিয়ে আগ্রা থেকে লখনউ আসেন আরশাদ৷ গত ৩১ ডিসেম্বর আগ্রা ফেরার আগে তাঁরা আজমেরে যান৷ সেখানে একটি হোটেলে ওঠেন৷ অভিযোগ, রাতে ঘুমন্ত মায়ের ওড়না দিয়ে তাঁর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আরশাদ৷ যাতে আর্ত চিৎকার শোনা না যায়, মায়ের মুখে কাপড় গুঁজে দিয়েছিলেন তিনি৷ চার বোনের কব্জি চিরে তিনি হত্যা করেন৷ ডিসিপি সেন্ট্রাল জোন রবীনা ত্যাগী জানিয়েছেন প্রতিবেশীদের হাতে হেনস্থা হওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন আরশাদ৷ মা এবং বোনেদের ‘নিরাপত্তা’-র কথা ভেবেই বাবার সঙ্গে মিলে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে শামিল হন তিনি৷
প্রসঙ্গত বুধবার সকালে উত্তরপ্রদেশের নাকা এলাকার শরণজিৎ হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় আলিয়া (৯), আলিশিয়া (১৯), আকসা (১৬), রহিমান (১৮) এবং তাদের মা আসমার রক্তাক্ত নিথর দেহ৷ পাঁচজনকে হত্যার দায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেন আরশাদ৷ জানান বাবাকে তিনিই স্টেশনে পৌঁছে দেন পালিয়ে যাওয়ার জন্য৷ এই ঘটনার ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ হত্যাকাণ্ডের পিছনে আর কী কী মোটিভ আছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷