পুলিশের তথ্যানুযায়ী, অভিযুক্ত থেজাস রাজ (২৩) এবং নিহত ফেবিন জর্জ গোমেজ (২১)-এর বোন একসময়ে সহপাঠী ছিলেন। তারা উচ্চ মাধ্যমিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং একসঙ্গে পড়েছিলেন। এফআইআরের বিবরণ অনুযায়ী, প্রেমিকা সম্পর্ক ছিন্ন করার পর তার পরিবার অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করায় থেজাস রাজ ক্ষুব্ধ ছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ কোল্লামের উলিয়াকোভি এলাকায় ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে থেজাস ওই মেয়েটির ভাই ফেবিনকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এই হামলার সময় ফেবিনের বাবা জর্জও আহত হন।
advertisement
এরপর কালো পোশাক পরিহিত রাজ মুখ আংশিক ঢাকা অবস্থায় গাড়ি নিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে চলে যান এবং রেললাইনের কাছে আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার গাড়ি থেকে পেট্রোলের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ একজন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরের ছেলে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পরও রাজ ওই তরুণীকে বিরক্ত করতে থাকলে তার পরিবার বাধা দেয়। রাজের পরিবার সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিল না। মেয়েটি যখন একটি নামকরা ব্যাংকে চাকরি পান, তখন রাজ পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও শারীরিক পরীক্ষায় ফেল করেন। এই ঘটনায় সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং তরুণী ধীরে ধীরে সম্পর্ক থেকে সরে আসে।
ফেবিনের মা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাদের মেয়ে অন্য একজনকে বিয়ে করতে চলেছে জানার পর থেকে রাজ প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিল। তার অভিযোগ, রাজ শুধু ফেবিনকেই নয়, বরং পুরো পরিবারকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: রেশন কার্ড কত ধরনের হয় জানেন! কোন রঙের কার্ডে কী কী সুবিধা মেলে জানুন…
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় প্রথমে জর্জের সঙ্গে তর্ক হয় রাজের, তারপর সে ফেবিনের ওপর মারাত্মক হামলা চালায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ছুরিকাঘাতের পর ফেবিন রাস্তায় ছুটে বেরিয়ে যায় এবং সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পর পুলিশ কালো পোশাক পরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খুঁজতে শুরু করে এবং পরে জানতে পারে, একই ধরনের পোশাক পরিহিত একজন ব্যক্তি কাছের একটি স্থানে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, ওই ব্যক্তি থেজাস রাজই।
ফেবিন কলেজে পড়ার পাশাপাশি পার্ট-টাইম ডেলিভারি ম্যানের কাজ করত। তার বাবা জর্জ বর্তমানে বিপদমুক্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তিনি কোল্লামের একটি হাসপাতালে চালকের চাকরি করেন।