সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০১৭ সালেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক ৷ তার পরেও এই প্রথা বন্ধ না হওয়ায় একে বেআইনি ঘোষণা করতেই সরকার পেশ করে তিন তালাক বিল ৷ এই বিল অনুসারে স্ত্রীকে তালাক দিলে স্বামীর তিন বছর পর্যন্ত জেল হবে ৷ তাৎক্ষণিক প্রথায় স্ত্রীকে তিনবার তালাক বলে দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ সারতেন বহু মুসলিম পুরুষ। ফোনে এসএমএস করে, হোয়াটসঅ্যাপ করে বা চিঠি লিখেও ৩ তালাক দেওয়ার অভিযোগ ওঠে একাধিকবার। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও তাৎক্ষণিক তিন তালাক নিয়ে প্রায় ৬০০-এর কাছাকাছি মামলা দায়ের হয়েছে ৷
advertisement
লোকসভায় তিন তালাক বিল (Triple Talaq Bill) পেশ করেন আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ । বিলের কিছু অংশ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল বিরোধীপক্ষের । তাঁদের মতে এই বিল পাশ হলে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রতি অবিচার হবে । লিঙ্গ সাম্যই (Gender Justice) এই বিলের প্রধান লক্ষ্য, জানান রবি শংকর প্রসাদ ।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয় তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলে এই আইনের অপব্যবহার করা হতে পারে । পাশাপাশি আরএসপি সাংসদ প্রেম চন্দ্রনের মতে হিন্দু বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য এরকম কোনও আইন নেই সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইসলামের জন্য এই আইন প্রযোজ্য হলে তা বৈষম্যের সমান । ইসলাম ধর্মাবলম্বী মহিলাদের প্রতি ন্যায্য বিচার করতেই এই বিল পাশ হওয়া প্রয়োজন বলে জানান আইনমন্ত্রী । রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নয়, মুসলিম মহিলাদের অধিকার রক্ষা করতেই এই বিল প্রয়োজন ।