পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা গত ৬ মাস ধরে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হন। শিবকুমার শর্মা ১৯৩৮ সালের ১৩ জানুয়ারি জম্মুতে এক সম্ভ্রান্ত সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা উমা দত্ত শর্মা ছিলেন প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী। তিনি হয়ে উঠেছিলেন ভারতের ধ্রুপদী সঙ্গীতের একজন মায়েস্ত্রো। গোটা ভারতের সঙ্গীত জগৎ শোকে মুহ্যমান তাঁর চিরতরে চলে যাওয়ায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বিয়ের কার্ড বিলি করতে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার! ঝাঁসিতে ভয়ঙ্কর ঘটনা
আরও পড়ুন: ভারতে করোনার ভয়াবহতা লেন্সবন্দি করে ফের পুলিৎজার জয়ী দানিশ সিদ্দিকি, কোন ছবিগুলি জানেন?
ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের ভুবনে অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি হল পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার মৃত্যুতে। বাবার কাছেই তবলা এবং গানের তালিম নিতে শুরু করেন তিনি। মাত্র ৫ বছর বয়সেই শুরু হয়ে যায় ধ্রুপদী সঙ্গীতচর্চা। ১৩ বছর বয়সে তিনি সন্তুর শেখা শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে মুম্বইয়ে তিনি প্রথম মঞ্চে সন্তুর বাজান। ১৯৬০ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম সোলো অ্যালবাম। হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি একের পর এক বিখ্যাত সুরসৃষ্টি করে গিয়েছেন। কাজ করেছেন বলিউডেও। উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে 'সিলসিলা', 'লমহে', 'চাঁদনি'।
কাশ্মীরের বাদ্যযন্ত্র সন্তুর উপত্যকার বাইরে খুব একটা পরিচিত ছিল না। এই বাদ্যযন্ত্রটিকে সারা দেশে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার। সেতার, সরোদের মতোই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সন্তুর। অনেকেই এই বাদ্যযন্ত্রটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ওঠেন। তাঁর পুত্র সন্তান রাহুলও এই বাদ্যযন্ত্র চর্চা করেন। পিতার কাছেই এটির তালিম পেয়েছেন তিনি।