আরও পড়ুন : মুখে মুখ লাগিয়ে অক্সিজেন যোগান, বুকে ক্রমাগত পাম্প, মৃতপ্রায় বাঁদরছানাকে বাঁচিয়ে নন্দিত গাড়িচালক
বহু ইতিহাসের বলিরেখা বিস্তৃত মুখের পিছনে থাকা এই বৃদ্ধের বাস গয়ার লাহথুয়া জেলার কোঠিলাওয়া গ্রামে৷ তাঁর তিরিশ বছরের পরিশ্রম শেষ হয়েছে গত বছর৷ গয়া শহরের মূল কেন্দ্র থেকে ৮০ কিমি দূরে পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা গ্রামে বসে বৃদ্ধ বলেছিলেন, ‘‘ আমার ৩০ বছর সময় লেগেছে ৩ কিমি লম্বা সেচখাল খনন করতে৷ এই দীর্ঘ সময় ধরে আমি গবাদি পশু নিয়ে জঙ্গলে চলে যেতাম৷ পশুগুলি বনে চরে বেড়াত৷ আমি খাল খনন করতাম৷ গ্রামের কোনও লোক আমাকে সাহায্য করেননি৷ গ্রামবাসীরা শহরে চলে যান কাজের খোঁজে৷ কিন্তু আমি এখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’ তাঁর এই প্রচেষ্টায় পাহাড়ি ঝর্না ও নদীর জল ওই খালবাহিত হয়ে পৌঁছেছিল গ্রামের পুকুরে ৷ দূর হয়েছিল বহুদিনের জলকষ্ট৷
advertisement
আরও পড়ুন : ঘড়িতে রাত ১.১৩, বারাণসী স্টেশনে হঠাৎ হাজির নরেন্দ্র মোদি
কোঠিলাওয়া গ্রামের মানুষের মূল জীবিকা কৃষিকাজ ও পশুপালন৷ গ্রামের বাসিন্দারা জলকষ্টে পীড়িত ছিলেন দীর্ঘ দিন৷ লাউঙ্গির প্রচেষ্টা তাঁদের জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চার করে কার্যত৷ এর পরও থেমে যায়নি লাউঙ্গির হাতের শাবল৷ গ্রামবাসীদের কল্যাণে তিনি ব্রতী নিরন্তর৷