তবে কেন্দ্রীয় সরকারে নির্দেশে ৩১ মার্চ ২০১৭ অবধি যদি আপনার কাছে বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট থাকে, তাহলে তা একমাত্র জমা দিতে পারবেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ৷ ৩১ মার্চের পর নিজের কাছে বাতিল টাকা থাকলে, জরিমানা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷
নোট বাতিলে নয়া অর্ডিন্যান্স। জেল নয়, শুধুই জরিমানার নিদান। রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছনো অর্ডিন্যান্সে শুধুই জরিমানার নির্দেশ রেখেছে কেন্দ্র ৷
advertisement
৩১ মার্চের পর বাতিল নোটে লেনদেনে হতে পারে জেল-জরিমানা। বুধবার এই অর্ডিন্যান্সেই সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। উল্লেখ্য সময়ের পর, কারও কাছে ১০টির বেশি বাতিল নোট মিললেই তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয় অর্ডিন্যান্সে।
পঞ্চাশ দিন সময়সীমা রাত পোহালেই শেষ ৷ কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করতে ক্রমশ কড়া হচ্ছে কেন্দ্র ৷ সময়সীমা শেষ হওয়ার দিন এগিয়ে আসতেই আরও কড়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম ৷ বাতিল নোট নিয়ে নয়া অর্ডিন্যান্স জারি করল কেন্দ্র। সাক্ষরের জন্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, ৩১ মার্চের পর কারোর কাছে ১০টির বেশি বাতিল নোট মিললে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা।
তিরিশে ডিসেম্বরের পর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কিছু বাছাই করা শাখায় বাতিল পাঁচশো ও হাজারের নোট জমা করা যাবে। সেক্ষেত্রেও অবশ্য কিছু শর্ত রয়েছে। কেন্দ্রের পূর্ব নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর অবধি বাতিল নোট নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া যাবে ৷ কিন্তু তার পর বাতিল নোট পাল্টাতে হলে যেতে হবে রির্জাভ ব্যাঙ্কে ৷ ৩১ মার্চ, ২০১৭ অবধি নোট বদলানো যেতে পারে RBI-তে ৷ কেন ৫০ দিন পরেও রয়েছে বাতিল নোট, সে ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য কারণ দর্শাতে পারলে তবেই নোট বদলানো সম্ভব ৷ কিন্তু সেক্ষেত্রেও ১০টির বেশি বাতিল নোট মিললে পড়তে হবে শাস্তির মুখে ৷
আগামী বাজেট অধিবেশনে সংসদে আনা হতে পারে এই নয়া অর্ডিন্যান্স। এর মাধ্যমে বাতিল নোটের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দায়বদ্ধতাও শেষ হল।