ধ্বংস স্তূপের মধ্যে থেকে নিখোঁজ রেলের ইঞ্জিনিয়ার কমলেশ তালুকদারের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে ভারতীয় রেলের কর্মরত কোন আধিকারিক বা কর্মী আর নিখোঁজ রইলেন না৷ সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০৭ নম্বর টেরিটোরিয়াল আর্মির মোট ৪৩ জনের মধ্যে ২৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৩ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও সেনার এক জন নিখোঁজ হয়ে আছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: 'তৃণমূলের লোকেরা যেন শিয়ালদহ মেট্রো না চড়ে, তাহলেই...', শর্ত দিলেন দিলীপ ঘোষ! কারণ কী?
নির্মাণকারী সংস্থা বেঙ্কট সাই কন্সট্রাকশনের ২২ জন কর্মীর মধ্যে ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ ৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ হয়ে আছেন ৬ জন৷ ভারত ইনফ্রার তিন কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়ে গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ চার জন গ্রামবাসী৷ সব মিলিয়ে ১১ জন এখনও নিখোঁজ মণিপুরের ধসে। এদের উদ্ধারের জন্য সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেনা সহ বাকি সব এজেন্সি। এন ডি আর এফ, এস ডি আর এফ, সেনা, অসম রাইফেলস, স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে প্রায় ৮৮০ জন এই উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তর।
উদ্ধার হওয়া রেলের ইঞ্জিনিয়ার কমলেশ তালুকদারের বাড়ি অসমের ধুবুরিতে। ধুবুরির কালদুয়ার দ্বিতীয় খন্ডের বাসিন্দা তিনি৷ তার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এর আগেও একবার তার দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল৷ পরে জানা যায় সেটা অন্য জনের দেহ। কমলেশ বাবুর স্ত্রী ও মা অসুস্থ। তারা কোচবিহারের হাসপাতালে ভর্তি। আপাতত পরিবারের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে৷ ধস প্রবণ এলাকায় বারবার খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারের কাজে বাধা আসছে। যদিও উদ্ধার কাজ বন্ধ করা হয়নি।