পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির একাধিক মামলায় ২০১৮ সালে জেল হয় লালুপ্রসাদের৷ আরজেডি সুপ্রিমোক সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল রাঁচির সিবিআই-এর বিশেষ আদালত৷ তার পর থেকে অধিকাংশ সময়ই শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাঁচি ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে কেটেছে লালুর৷ শনিবার সংশোধনাগারের চিকিৎসকদের সম্মতির পাশাপাশি লোয়ার কোর্টের অনুমতি মিললেই লালুকে দিল্লি উডিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে চিকিৎসার জন্য।
advertisement
শুক্রবার বাবার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ছেলে তেজস্বী যাদব বলেন, "শনিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলব। বাবার অবস্থা সংকটজনক। তাই চিকিৎসায় যাতে সমস্যা না হয়, সেই বিষয়ে অনুরোধ জানাব। "
১৯৯০ এবং ১৯৯৫ সালে দু' বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন লালু৷ এছাড়াও সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সামলেছেন রেল মন্ত্রকের দায়িত্ব৷ জনতা দল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি গঠনের পরও বিহারে লালুর জনপ্রিয়তা কমেনি, বরং বেড়েছে৷ ২০০০ সালে নিজের স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসালেও লাগাম ছিল লালুর হাতেই৷ ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ইউপিএ জমানায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু৷
