বিজয়রথের সাফল্যের পর নীতিশ-লালু পার্টনারশিপ আরও মজবুত। নীতীশকে পাশে নিয়ে আপ্লুত লালু বললেন-‘নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, থাকবেন ৷’ বিহারের মানুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি আমরা দুই ভাই’। জয়ের দুই কাণ্ডারীই জয়ের কৃতিত্ব দিলেন বিহারের মানুষকে। লালু বিজয় ভাষণেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মোদি সরকারকে, বললেন ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ৷ ‘আমরা সেই লড়াই তীব্রতর করব’৷ মোদি সরকারকে আমরা দেশছাড়া করব’। এখানেই না থেমে লালু জানান, ‘আর দশদিন বাদে আমি মোদির লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে যাব। হ্যারিকেন জ্বেলে খুঁজে খুঁজে দেখব উনি ওখানে কী কী কাজ করেছেন !’ ‘নীতিশজিকে আমি বেশি বিরক্ত করতে চাই না। উনি বিহারের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন আর আমরা সারা দেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিকে উৎখাত করব।’
advertisement
নিজের তরফে বক্তব্য রাখতে উঠে বিহারের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই ভোটের সময়ের বিরোধীদের আক্রমণাত্মক প্রচার নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিহারের মানুষকে তাঁদের প্রতি যে আশা নিয়ে বিপুল সমর্থন দেখিয়েছেন, তার সম্পূর্ণ সম্মান রক্ষা করার আশ্বাস দেন নীতিশ কুমার। ধন্যবাদ জানান মহাজোটের বাকি দলগুলিকে, ‘মহাজোট ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করেছে ৷’ ৩ দল একসঙ্গে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে ৷’ ৩ দল আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করেনি’। তবে বিহারের উন্নয়নে কেন্দ্রের সহযোগিতা নিয়ে আশঙ্কা ফুটে উঠল নীতিশ কুমারের গলায়। অন্যদিকে লালুজি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু বিহারের ফল সে চেষ্টায় জল ঢেলে দিয়েছে’। বিহার ভোটের ফল পশ্চিমবঙ্গের মিশন ২০১৬-কে কতটা প্রভাবিত করে সে তো ভবিষ্যতই বলবে। আপাতত লালু-নীতিশ জুটির দুর্ধর্ষ পারফর্মেন্সে বিহারে এখন আগাম দিওয়ালি।
প্রতিবেদন: এলিনা দত্ত