রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবি এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরেই আন্দোলন করছেন পরিবেশ কর্মী সোনম ওয়াংচু। সম্প্রতি তিনি ফের পনেরো দিনের অনশনে বসেছিলেন। যদিও আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নেওয়ার পর তিনি অনশন থেকে সরে এসেছেন। বুধবারের বিক্ষোভ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন তিনি। সোনম সহিংস আন্দোলনকে সমর্থন করেন না, তা তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
advertisement
যদিও তিনি এ-ও জানান, তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখাতে পারেনি লাদাখের রাজনৈতিক দলগুলি। তাঁর কথায়, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে জমতে থাকা আগুনেরই বহিঃপ্রকাশ’। যদিও এই বিক্ষোভের জন্য সোনমকেই দায়ী করেছে কেন্দ্র। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি যুবকদের মধ্যে হতাশার ফলাফল কারণ তারা চাকরি পাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘লাদাখে কোন গণতন্ত্র নেই এবং জনগণের কাছে করা ষষ্ঠ তফসিলের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি।’’
আগামী ৬ অক্টোবর কেন্দ্রের সঙ্গে লাদাখের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে বসার কথা। তবে তার আগেই রাস্তায় আগুন লাগায় উত্তপ্ত জনতা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির পার্টি অফিস। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালানো এবং টিয়ারগ্যাস শেলিং করছিল। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মতে, প্রশাসন পাঁচ বা ততোধিক লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে BNSS এর ধারা ১৬৩ এর অধীনে নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করেছে। এছাড়াও, কংগ্রেস নেতা এবং কাউন্সিলর ফুনসোগ স্টানজিন সেপাগ (Phuntsog Stanzin Tsepag)-কে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অনশন স্থলে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।