এইচ ডি কুমারস্বামী এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিধায়ক কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি ৷ বিধায়ক ভাঙাতে ১০০ কোটি টাকার টোপ দিচ্ছে ৷ মন্ত্রিত্ব দেওয়ার লোভ দেখাচ্ছে ৷’
দলের অন্দরের খবর, বিধায়কদের প্রলোভনের হাত থেকে বাঁচাতে কোচিতে একটি রিসর্টে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জেডিএস ৷ যদিও জেডিএসের বিধায়করা এককাট্টাই রয়েছেন বলে দাবি করেছেন কুমারস্বামী।
advertisement
যদিও জেডিএস-এর এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে বিজেপি ৷ অভিযোগ খারিজ করে প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘কর্ণাটকবাসী বিজেপি সরকার চাইছেন ৷ মানুষের রায় অস্বীকার করে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকছে কংগ্রেস ৷’
আরও পড়ুন
বাংলার ভোটে গণতন্ত্রের হত্যা: মোদি
কংগ্রেসও জেডিএস-এর সুরেই নিশানা করেছে বিজেপিকে। তাদের হুঁশিয়ারি, বিজেপি যদি তাদের ঘর ভাঙানোর চেষ্টা করে, তা হলে তারাও বসে থাকবে না। বিজেপির একাধিক বিধায়কের সঙ্গে ইতিমধ্যেই তাদের কথা হয়েছে বলে কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি।
বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইয়েদুরাপ্পা সকাল আজ সকাল দেখা করে এসেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে। বসে নেই কংগ্রেস এবং জনতা দল সেকুলারও। দুই শিবিরই পৃথকভাবে আজ পরিষদীয় দলের বৈঠক করেছে।
ত্রিশঙ্কু কর্নাটকে এবার বিজেপি পেয়েছে ১০৪টি আসন। কংগ্রেস ৭৮টি। জেডিএস ৩৮টি। নির্দল ২টি। ভোটের ফল ঘোষণার পরে, জেডিএসকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করে কংগ্রেস। অর্থাৎ, কংগ্রেস ও জেডিএসের মোট বিধায়ক সংখ্যা এখন ১১৬। যা ম্যাজিক ফিগার ১১২-র থেকে বেশি।