শিস দেওয়ার বৈশিষ্ট্যের জন্য এর আগেও শিরোনামে এসেছে কংথং গ্রাম ৷ শিসের রহস্য লুকিয়ে আছে গ্রামবাসীদের নামে এবং সম্বোধনে ৷ এই গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দার নাম প্রকৃতপক্ষে এক একটি সুর ৷ কোনও নির্দিষ্ট শব্দবন্ধের পরিবর্তে তাঁদের সম্বোধন করা হয় ওই সুরেই ৷
মেঘালয়ে ইস্ট খাসি হিলস জেলায় সোহরা এবং পাইনুরসলা শৈলশ্রেণীর মাঝে ছবির মতো কংথং গ্রাম ৷ প্রচলিত প্রাচীন রীতি অনুযায়ী, এই গ্রামে কোনও শিশুর জন্ম হলেই নবজাতকের মা তাঁর সন্তানের জন্য একটি নির্দিষ্ট সুর মনে মনে তৈরি করে নেন ৷ তার পর ওই সুরেই ডাকতে থাকেন সন্তানকে ৷ ক্রমে সেটাই হয়ে যায় তার পরিচয় ৷ অপূর্ব নিসর্গের পাশাপাশি এই সুরেলা সম্বোধনও গ্রামের অন্যতম আকর্ষণ ৷
advertisement
আরও পড়ুন : এবার রামের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলবে ট্রেন, কোটি কোটি তীর্থযাত্রীকে বড় উপহার রেলের
পাহাড়ের কোলে সাজানো কংথং গ্রামে পর্যটকরা যান এই সুরেলা সম্বোধনের সাক্ষী হতে ৷ তবে এত দিন মেঘালয়ের গ্রামপর্যটনের মধ্যে সবথেকে বেশি নজর কেড়ে নিয়েছে মওলিংনং ৷ ইস্ট খাসি হিলস জেলায় এই গ্রামের পরিচয় ‘এশিয়া মহাদেশের পরিচ্ছন্নতম গ্রাম’ হিসেবে ৷ গাছের শিকড়ে তৈরি প্রাকৃতিক সেতুর পাশাপাশি এই গ্রামও তার জায়গা করে নিয়েছে মেঘালয়মুখী পর্যটকদের ভ্রমণ তালিকায় ৷ অনেকেই এ গ্রামে হোম স্টে আতিথ্যের স্বাদ নেন ৷ পর্যটনপ্রেমীদের আশা, এ বার মওলিননঙের পাশাপাশি জনপ্রিয়তার সারিতে উঠে আসবে শিসগ্রাম কংথং-ও ৷
আরও পড়ুন : দারিদ্রের জন্য পড়াশোনা বন্ধ হয়েছিল, ৭৫-এর বৃদ্ধের ৮টি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি!