বুধবার সিপিআইএমের কলকাতা জেলার সম্পাদক জানিয়েছেন, বন্ধ রুটগুলিতে ফের ট্রাম চালাতে হবে। এই দাবিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ট্রাম ডিপোগুলিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার অভিযান চালানো হবে। একই সঙ্গে পুরনো ট্রাম মেরামতি ও আধুনিকীকরণের উপরেও জোর দেওয়ার দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বিস্কুটের গায়ে কেন ফুটো থাকে? রয়েছে তার বিশেষ নামও, নিজে জেনে অন্যকে প্রশ্ন করুন, মজা নিন
advertisement
জ্বালানির দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন যানবাহনের ভাড়া বেড়েছে তেমনই রাস্তায় চাহিদার তুলনায় গাড়ি কমেছে। ফলে সমস্যায় পড়েছে বহু যাত্রী। আবেগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয়তার খাতিরে এই অংশের মানুষের কাছেও পৌঁছাতে ট্রামকেই ব্যাবহার করতে চাইছে দল। একই সঙ্গে এই আন্দোলনে শহরের পরিবেশে সচেতন মানুষকেও পাশে পাওয়া যাবে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শহর কলকাতায় ট্রাম চালু হয় শিয়ালদহ থেকে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত। সেদিনের ঘোড়ায় টানা ট্রাম মূলতঃ পণ্য পরিবহনের জন্য শুরু করা হলেও প্রথম দিন থেকেই তা যাত্রী পরিবহন করে। এরপর ১৮৮০ সালে লন্ডনে ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি লিমিটেড গঠিত হয়। এশিয়ার প্রথম বিদ্যুৎ চালিত ট্রাম চালু হয় ১৯০০ সালে কলকাতার ধর্মতলা থেকে খিদিরপুর।
আরও পড়ুনঃ কাকড়াঁ ধরে আর ঘরে ফেরা হল না, জঙ্গলে টেনে নিয়ে গেল বাঘ, মৃত্যু মৎস্যজীবীর
দেশের স্বাধীনতা লাভের পর লাভজনক ট্রাম কোম্পানিকে সরকারের অধিগ্রহণের দাবি জানান শ্রমিক সংগঠন। বিধানসভার মধ্যে ট্রাম অধিগ্রহণের দাবির পক্ষে জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে বামপন্থী বিধায়করা একই দাবি জানাতে থাকেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায় ট্রাম কোম্পানির মালিকদের সাথে একটি চুক্তি করেন ১৯৫১ সালে। যা ট্রামওয়েজ অ্যাক্ট ১৯৫১ নামে পরিচিত।
এই আইন বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ট্রামওয়েজের সকল স্বত্বাধিকার ১লা জুন ১৯৭২ বা তার দুই বছরের নোটিশে অধিগ্রহণ করার অধিকারী হয়। এই আইন বলে ১৯৭৮ সালে বামফ্রন্ট সরকারের সময় গঠিত হয় ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি (১৯৭৮) লিমিটেড (ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি বা সিটিসি), পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধিগৃহীত একটি সংস্থা।
UJJAL ROY