পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, ডাক্তার সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে একাধিক মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসকও ছিলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজের ‘ভালবাসা’ প্রমাণ করার জন্য তার স্ত্রীকে হত্যা কথা বলেন। এমনকি একটি ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও এমন একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। একজন মহিলা অফিসারদের বলেন, তিনি আগে তাকে ব্লক করেন, কিন্তু কয়েক মাস পরে আরেকটি বার্তা পেয়ে দাবি করেন তিনি একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মুখোমুখি হন, যদিও ফিরে সতে পেরেছিলেন।
advertisement
তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত বিবাহিত চিকিৎসক বেশ কয়েকজন মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ২৪ এপ্রিল তাঁর স্ত্রী ডাঃ কৃত্তিকা রেড্ডিকে সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার পর, প্রাথমিকভাবে মামলাটি আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্ট এবং ডিজিটাল প্রমাণের অসঙ্গতি শীঘ্রই গোয়েন্দাদের ডঃ রেড্ডির কাছে নিয়ে যায়। পুলিশের অভিযোগ, নিজের ডাক্তারি বুদ্ধি ব্যবহার করে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে অ্যানাস্থেসিয়ার মারাত্মক ডোজ প্রয়োগ করতেন। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে উদুপি জেলার মণিপাল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীরা ফোন এবং ল্যাপটপ উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুনঃ ‘লেহেঙ্গা, ফটোশ্যুট, গান-বাজনা নয়! কনের উচিত…’, হবু বরের আজব দাবিতে আলোচনার ঝড় নেটদুনিয়ায়
ভুক্তভোগীর পরিবার বলেন, মৃত্যুর দিন থেকেই তাদের সন্দেহ ছিল। “আমরা পোস্টমর্টেমের জন্য জোর দিয়েছিলাম, কিন্তু মহেন্দ্র একটি আবেগঘন নাটক করে। সে বলে স্ত্রীকে সে ওভাবে দেখতে পারছে না”, জানিয়েছেন কৃত্তিকার বোন ডাঃ নিকিতা। অভিযুক্ত তার বোনের নিজস্ব ক্লিনিক শুরু করার পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিলেন বলেও অভিযোগ। দরিদ্র রোগীদের সাহায্য করার জন্য বোন একটি ছোট ক্লিনিক খুলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি কখনও তাকে সমর্থন করেননি। এমনকি তাঁর বিয়েও দিতে রাজি হননি।
