চাইল্ড রাইটস ট্রাস্টের (Child Rights Trust) ডিরেক্টর (director) নাগাসিমহা জি রাও (Nagasimha G Rao) বলেছেন, “বেশির ভাগ শিশুরা নিজেদের মাতৃভাষায় ফিরে গিয়েছে, এমনকী পড়ার বইয়ের বর্ণমালা ভুলে গিয়েছে। প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট একটি মাতৃভাষা রয়েছে, কিন্তু স্কুলে পড়াশোনার একটি নির্দিষ্ট ভাষা থাকবেই, কখনও সেটা একাধিকও হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার ফলে তাঁরা পড়াশোনার ভাষা ও বইয়ে সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে। এই পরিবর্তন শিশু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা গিয়েছে। কারণ, তাঁরা গোটা লকডাউনে বাড়িতেই সময় কাটিয়েছে”।
advertisement
দেখা গিয়েছে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির গড়ে এক তৃতীয়াংশ পড়ুয়ারা নিজেদের পাঠ্য বই সাবলীল ভাবে পড়তেই পারছে না। বর্ণমালা, সংখ্যা, যোগ এবং বিয়োগের মতো মৌলিক গণিতও ভুলে গিয়েছে। নিজের মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় সহপাঠীদের সঙ্গে কথাও বলতে পারছে না।
চিকমাগলুর (Chikkamagalur) জেলার বাসারিকাট্টের (Basarikatte) প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক কমলা শ্রী (Kamala Sri) বলেন শিশুরা সহজ বাক্য লেখার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। তাঁরা হাসি মুখে আবার স্কুলে ফিরে আসলেও পেন্সিল ধরার পরই তাঁদের হাসি ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এই অসুবিধাগুলো গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা গিয়েছে। কারণ তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে অনলাইন ক্লাসে যোগ দেওয়ার সুযোগ ছিল না ফলে তাঁরা বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়েছে। চাইল্ড রাইটস ট্রাস্টের তরফে এই অসুবিধা মোকাবিলা করার একটি পথ খুঁজে বার করা হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা করে প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। সেখানে বাচ্চাদের বসিয়ে গল্প বলা ও খেলার ছলে পড়াশোনা করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাগাসিমহা জি রাও।
শিশুদের স্কুল জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করেন কীর্তনা শর্মা (Keerthana Sharma) নামের এক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবিকা (rained volunteer )। তিনি বলেছেন শিশু পড়ুয়ারা কবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না, তবে তাঁদের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।