তা সত্ত্বেও, সাধক প্রতিদিন সকালে বৃন্দাবনের পরিক্রমা করেন এবং রাধা রাণীর ভক্তিতে ডুবে থাকেন। সকলের মনেই এই প্রশ্ন জাগে যে, তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে যাওয়ার পরেও সাধক কীভাবে বেঁচে আছেন। এমনকি বিজ্ঞানের কাছেও এর কোনও উত্তর নেই। সম্প্রতি শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রা প্রেমানন্দজী মহারাজের আশ্রমে গিয়ে তাঁকে নিজের একটি কিডনি দান করার কথা বলার পরেই ফের একবার তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা সকলের মনে এসেছে৷
advertisement
প্রেমানন্দ মহারাজ নিজেই তাঁর অনেক ভিডিওতে বলেছেন যে তিনি কীভাবে বেঁচে আছেন। তিনি বলেছিলেন যে ১৭ বছর আগে দিল্লির হাসপাতালে একজন চিকিৎসক বলেছিলেন যে বাবা, আপনার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে, আপনার আর জীবনের মাত্র আড়াই থেকে পাঁচ বছর বাকী আছে, তার পরে আপনি মারা যাবেন।
এরপর প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন যে ‘‘আমি আজ বেঁচে আছি কারণ আমার ঈশ্বরে বিশ্বাস আছে। রাধারাণী আমার সঙ্গে আছেন এবং আমার উপর তাঁর আশীর্বাদ রয়েছে, সেই কারণেই আমি আজও আপনাদের সকলের মধ্যে আছি এবং তাঁর নাম জপ করছি।’’
প্রেমানন্দ মহারাজ প্রতিদিন ভোর ২টায় বৃন্দাবন পরিক্রমা করেন এবং ৪টায় সৎসঙ্গ শুরু করেন। তাঁর মুখের উজ্জ্বলতা দেখে কেউ অনুমানও করতে পারবেন না যে মহারাজ-জীর শরীরে এত গুরুতর রোগ বাসা বেঁধে রয়েছে৷
প্রেমানন্দ মহারাজ কোন কিডনি-র রোগে ভুগছেন?
তথ্য অনুসারে, প্রেমানন্দ মহারাজ অটোসোমাল ডমিন্যান্ট পলিসিস্টিক কিডনি রোগে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগটি একটি জিনগত রোগ৷ বাবা-মা থেকে বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রামিত হয়, যার ফলে কিডনির আকার বৃদ্ধি পায় এবং কিডনিতে জল জমে যায়। এরপর ধীরেধীরে পিণ্ড তৈরি হয় এবং তারপর কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
বিজ্ঞানও অবাক হয়ে দেখে যে প্রেমানন্দ মহারাজ এত বিপজ্জনক রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও বেঁচে আছেন। কারণ কিডনিতে জল জমার পর সেখানে পিণ্ড তৈরি হয় এবং তারপর কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। বিজ্ঞানও অবাক হয়ে দেখে যে প্রেমানন্দ মহারাজ-জি এত বিপজ্জনক রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও বেঁচে আছেন।