সম্প্রতি সংবাদসংস্থায় এক পডকাস্টে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খান স্যার বলেন, পর্দাপ্রথা অনুসরণ করে চলা সম্পূর্ণ তাঁর স্ত্রীর সিদ্ধান্ত। কারণ তিনি সমাবেশের বাকি সদস্যদের থেকে আলাদাভাবে নিজেকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। “অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে ওড়নায় মুখ আড়াল করার সিদ্ধান্ত আমার স্ত্রীর ছিল। তিনি বলেছিলেন যে এটি তাঁর শৈশবের স্বপ্ন এবং প্রতিটি মেয়েই ঘোমটা পরে কনে হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তার মতে, বিয়ের অনুষ্ঠানে মানুষের ভিড়ে ওড়নায় মুখ আড়াল করার পরার কনের ভাবমূর্তি একটা স্বতন্ত্র পরিচয় পায়,” খান স্যার বলেন।
advertisement
তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমি স্ত্রীকে বলেছিলাম সে ওড়নায় মুখ ঢেকে রাখলে লোকেরা আমাকে দোষ দেবে। যার উত্তরে সে বলল, এটা তার ছোটবেলার স্বপ্ন। সে এভাবে সাজার জন্য একগুঁয়ে ছিল। ফলে অবশেষে আমি বললাম, ঠিক আছে”। ইন্টারনেটে তীব্র সমালোচনা তাঁকে প্রভাবিত করেছে কিনা জানতে চাইলে, খান স্যার উত্তর দেন: “না, আমরা একটি গ্রাম থেকে এসেছি। আর আমরা গ্রাম ছেড়ে যেতে পারি না।”
কেন তিনি চুপিসারে বিয়ে করেছিলেন? সে উত্তরও দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি তোমাদের বিয়ে নিয়ে একটা কথাও জানাইনি। কারণ যখন ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলছিল, তখন আমি বিয়ে করেছিলাম,” সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে তাকে এক শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের এ কথা বলতে শোনা গিয়েছে। খান স্যার আরও বলেন, “প্রথমে আমি বিয়ে স্থগিত রেখে সীমান্তে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইরত সৈন্যদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার বাবা-মায়ের পরিকল্পনায় সবকিছু ঠিক হয়ে গিয়েছিল এবং তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “অবশেষে, আমি হাল ছেড়ে দিলাম। পাকিস্তানিদের অভিশাপ দিলাম এবং বিয়েতে রাজি হলাম। কিন্তু এই শর্ত দিলাম যে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।”
প্রসঙ্গত খান স্যার পটনায় খান স্যার ‘জিএস রিসার্চ সেন্টার’ পরিচালনা করেন এবং একই নামে তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। বর্তমানে, তাঁর ২.৪৭ কোটি গ্রাহক রয়েছে এবং প্রায় ৪০০টি ভিডিও রয়েছে।