TRENDING:

বাহুবলে রাজ্যসভায় পাশ জোড়া কৃষি বিল, ঐতিহাসিক মুহূর্ত, বলছেন নরেন্দ্র মোদি

Last Updated:

প্রবল বিক্ষোভের আবহেই বাহুবলে বিল পাশ করাতে হল নরেন্দ্র মোদি সরকারকে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: ধোপে টিকল না বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদ। লোকসভার পর রাজ্যসভায়ও এবার ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল কৃষিসংস্কার সংক্রান্ত দুটি বিল, যথা কৃষিপণ্য লেনদেন ও বানিজ্য উন্নয়ন এবং দাম নির্ধারণে কৃষক সুরক্ষা ক্ষমতায়ন চুক্তি সংক্রান্ত বিল। তবে প্রবল বিক্ষোভের আবহেই বাহুবলে বিল পাশ করাতে হল নরেন্দ্র মোদি সরকারকে।
advertisement

লোকসভার মতোই রাজ্যসভাতেও বিরোধীরা একই সুরে অভিযোগ জানাল যে, এই বিলগুলিতে ক্ষুদ্রচাষীর স্বার্থ উপেক্ষিত বরং একতরফা ভাবে রক্ষিত হচ্ছে কর্পোরেট সংস্থাগুলির একতরফা ফসলের দাম নির্ধারন ও মজুতদারির অধিকার। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, দশকের পর দশক ধরে দালাল ও ফড়েদের অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন কৃষকরা।

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "চোখে জল আনা মুহূর্ত। দেশের কষক সমাজের জন্য ঐতিহাসিক দিন। পরিশ্রমী কৃষকদের সকলকে শুভেচ্ছা। এই বিল দেশের কৃষিক্ষেত্রে বিপুল পরিবর্তন আনবে। একই সঙ্গে কোটি কোটি কৃষককে স্বনির্ভর করবে।"

advertisement

advertisement

এ দিন রাজ্যসভায় কৃষক কল্যাণ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর বিলটি পেশ করে বলেন, "এই বিল আসায় এবার থেকে আর ন্যায্য দাম পাওয়ার পথে কোনও বাধা রইল না।" কিন্তু বিলটি উত্থাপিত হতেই এদিন প্রায় রণক্ষেত্রের আকার নেয় রাজ্যসভা। করোনার সামাজিক বিধি ভেঙেই বিরোধী সাংসদরা এয়েলে নেমে আসেন। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহকে ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধীরা।

advertisement

ইতিপূর্বেই কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন ও কৃষক সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। সেই বিলের প্রতিবাদে সরব হন অকালি দলের প্রধান প্রকাশ সিং বাদলের পুত্রবধূ হরসিমরত কউর। বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেন তিনি। এর পর থেকে দেশের নানা প্রান্তেই কৃষকদের প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে। রাজস্থান, পঞ্জাবে পথে নেমেছেন কৃষকরা। পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নও।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

কংগ্রেস এই বিলকে কৃষকের মৃত্যু পরোয়ানা বলছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্চে। সরকারি নূন্যতম সহায়ক মূল্য মিলবে না (এমএসপি)। এমন প্রচার ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিজেপির তরফেও ভূয়ষী প্রশংসা করা হয়েছে এই বিলের। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার দাবি, ৭০ বছরের বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেলেন দেশের কৃষকরা।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
বাহুবলে রাজ্যসভায় পাশ জোড়া কৃষি বিল, ঐতিহাসিক মুহূর্ত, বলছেন নরেন্দ্র মোদি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল