মন্ত্রী এম বি রাজেশ বলেন, ”দেশের মধ্যে প্রথম দারিদ্রমুক্ত রাজ্য হতে চলেছে কেরল। এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।” রাজ্যকে দারিদ্রমুক্ত করতে পিনারাই বিজয়নের সরকার ‘এক্সট্রিম পভার্টি ইরাডিকেশন প্রজেক্ট’ (ইপিইপি) চালু করে।
আরও পড়ুন: বাংলার দুই স্কুল দেশের সেরা ৩০ স্কুলের তালিকায় নাম তুলল, নাম জানলে গর্ব হবে!
এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুঃস্থ পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা করাই মূল লক্ষ্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুঃস্থ পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করতে তৃণমূল স্তর থেকে সমীক্ষা শুরু করে রাজ্য সরকার। কেরলকে চরম দারিদ্রসীমামুক্ত করতে নানা পদক্ষেপ করা হয়। ইপিইপি প্রকল্পের মূল লক্ষ্য, রাজ্যে কেউ যেন চরম দারিদ্রসীমার নীচে না থাকেন।
advertisement
সংখ্যায় কেরলের সাফল্য
জরিপ অনুযায়ী, দারিদ্র্যের পাঁচটি প্রধান কারণ ছিল—
৩৫% পরিবারের আয়ের ঘাটতি
২৪% স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা
২১% খাদ্যাভাব
১৫% আশ্রয়হীনতা
এই সমস্যাগুলিকে নির্ভরযোগ্যভাবে চিহ্নিত করে ধাপে ধাপে সমাধান করেছে রাজ্য সরকার। এখন পর্যন্ত ৭,০৮৩টি নিরাপদ বাড়ি নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। কেরল ইতিমধ্যেই চিনের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণে সাফল্যের দাবি করছে। ১ নভেম্বর, রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবসে, এই ঘোষণা হবে আনুষ্ঠানিকভাবে।