আরও পড়ুন– ‘গোধরা এক অকল্পনীয় ট্র্যাজেডি’, ‘ফেক ন্যারেটিভ’ নিয়ে বিরোধীদের একহাত নিলেন মোদি
হাইকোর্টের বক্তব্য, আইনে সারোগেসির জন্য বয়সের সীমা থাকবে ২৩ বছর থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। কেরালা স্টেট স্টেট অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকটিভ টেকনোলজি অ্যান্ড সারোগেসি বোর্ড (KSARTSB) আগে অবশ্য ওই মহিলাকে সারোগেসির জন্য অনুমতি দেননি। বোর্ডের বক্তব্য, আইন অনুযায়ী, সার্টিফিকেট ইস্যু করার দিন সারোগেসি করতে ইচ্ছুক বিবাহিত মহিলার বয়স ২৩ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এরপরে ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর আগে সিঙ্গেল বেঞ্চ বোর্ডের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।
advertisement
টাইমস অফ ইন্ডিয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিভিশন বেঞ্চ ওই মহিলার আবেদন গ্রহণ করেছে। সেই সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বোর্ডকে। এই মামলায় সবথেকে বড় বিতর্ক হল, ৫০ বছর বয়সী একজন মহিলাকে সারোগেসির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে কি না, কারণ আইন বলে যে, শুধুমাত্র ২৩ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলারা এটি করতে পারবেন। এদিকে স্কুল রেকর্ড অনুযায়ী, মহিলার জন্ম ১৯৭৪ সালের ২৪ জুন। যার অর্থ হল, তাঁর বয়স ৫০ বছর। সিঙ্গেল বেঞ্চের বক্তব্য, মহিলার বয়স ৫০, তাই তিনি এর জন্য যোগ্য নন।
আরও পড়ুন- ‘সংখ্যালঘুরা এ দেশে নিরাপদ, ভারতীয় হিসেবে আমি গর্বিত…’ খোলাখুলি জানালেন জন আব্রাহাম
আইন কী বলছে?
রায়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে যে, ২০২১-এর অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকটিভ (রেগুলেশন) আইনে এআরটি প্রক্রিয়ার মধ্যে যাওয়ার জন্য মহিলাদের বয়স ২১ বছরের বেশি আর ৫০ বছরের কম হতে হবে। আদালতের বক্তব্য, এআরটি প্রক্রিয়ায় মা হতে ইচ্ছুক মহিলাদের ঝুঁকি থাকে। আবার মা হতে গেলে যে আবেগগত ইচ্ছা থাকে, সেটাও সারোগেসির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। আদালত বলেছে যে, সারোগেট মা এবং মা হতে ইচ্ছুক মহিলার বয়স একই রকম ধরে নেওয়া যাবে না।
হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য:
হাইকোর্ট বলেছে যে, সারোগেসি আইনের উদ্দেশ্য হল, অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করা। তবে যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা যাতে এই সুবিধা নিতে পারেন, সেটা দেখাও আইনের উদ্দেশ্য। আদালত বলেছে যে, এই ক্ষেত্রে আবেদনকারীর মা হওয়ার শেষ সুযোগ রয়েছে। এটি জীবনের একটি অত্যন্ত ব্যক্তিগত এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক। মা হওয়ার অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। বিবাহিত মহিলারা নিজেদের মা হওয়ার ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন।