দু’জনের, অর্থাৎ রবিউল ইসলাম ও রবিউল শেখের বাড়ি পারদেওনাপুর শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজিপাড়া এলাকায়। আর আলিম শেখের বাড়ি কুম্ভিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোধনটোলা গ্রামে। প্রত্যেকেই কেরালায় রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
advertisement
বর্ষায় সাপ-খোপ ঢুকে পড়ছে ঘরে? বাড়ির চারপাশে লাগান এই ৫ গাছ, প্রাকৃতিক ভাবে মিলবে ‘রক্ষা কবচ’!
স্থানীয় সূত্রের খবর, তাঁরা তিনজনই গত কয়েক মাস ধরে কেরালার একটি জেলায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে, তাঁরা পুরনো একটি বাড়ির ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সময় আচমকাই সেই বাড়িটি ভেঙে পড়ে। বাড়িটি আদতে একটি বহুতল নির্মাণাধীন ভবন, যা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। রাত গভীর হওয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন ওই তিন যুবক।
তীব্র শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন ও অন্য শ্রমিকরা। তড়িঘড়ি চলে উদ্ধারকাজ। কিন্তু তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
প্রশাসনের পদক্ষেপ:
ঘটনার খবর পেয়ে কেরালা প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে নির্মাণ সংস্থা ও জমির মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে মালদহ জেলা প্রশাসনও যোগাযোগ করেছে কেরালার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে। মৃতদেহ কবে পৌঁছাবে, কীভাবে পাঠানো হবে, সেই বিষয়ে পরিবারগুলিকে জানানো হচ্ছে।
গ্রামে শোকের ছায়া:
এ খবর গ্রামের মাটিতে পৌঁছাতেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহত যুবকদের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছে। কোনও পরিবারে নিহত যুবক একমাত্র রোজগেরে, কারও বা সদ্য বিয়ে হয়েছিল। হতভাগ্য পরিবারগুলির আর্তনাদ শুনে চোখে জল এসেছে প্রতিবেশীদেরও। শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।
স্থানীয়দের দাবি:
প্রতিবছরই মালদহ থেকে শত শত যুবক ভিন রাজ্যে কাজে যান। কিন্তু সুরক্ষার কোনও গ্যারান্টি নেই। এভাবে অনিরাপদ পরিবেশে শ্রমিকদের রেখে কাজ করানো রোধে সরকারের নজরদারি বাড়ানো দরকার। পরিবারগুলিকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও সরকারি সহায়তার দাবিও উঠেছে।