কেরল পুলিশ ট্যুইট করেছে ‘দুঃখিত, মেয়ে। তাকে জীবিত অবস্থায় বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের সব প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। যে অভিযুক্ত শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও খুন করেছে, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ মালয়লম ভাষায় লেখা এই পোস্ট ভাইরাল সমাজমাধ্যমে।
নিথর বালিকার দেহ রবিবার শায়িত ছিল তার স্কুলে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই স্কুলেরই ছাত্রী ছিল সে। বন্ধুরা ভালবাসা জানায় চিরঘুমে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটিকে। সমাজের সব স্তরের, সব বয়সি মানুষ এসে বিদায় জানান নির্যাতিতাকে। রবিবারই স্থানীয় সমাধিক্ষেত্রে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বালিকার। অভিযুক্তর কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দাবি করেছেন সকলে।
advertisement
বিহারের এক দম্পতির সন্তান ওই বালিকাকে শুক্রবার বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায় বিহার থেকে আসা শ্রমিক আসফাক আসলাম তার হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি অভিযুক্ত শ্রমিকের সঙ্গে স্কুলছাত্রীকে দেখেছিলেন। জিজ্ঞাসা করতে অভিযুক্ত জানিয়েছিল শিশুটি তার সন্তান। এমনকি, বাচ্চাটির হাতে লজেন্সও দেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই বাসিন্দা।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ নিখোঁজ হয়ে যায় ওই শিশু। বিকেল ৫.৩০ নাগাদ তাকে খুন করা হয়। শিশুর বাবা মা সন্ধ্যা ৭.১০ নাগাদ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেদিনই রাত ৯.৩০ নাগাদ গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তবে সে সময় চূড়ান্ত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকায় তাকে জেরা করা যায়নি বলে পুলিশের দাবি। তাদের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
নিহত শিশুটি যে বিল্ডিংয়ে থাকত, সেখানেই ইদানীং অভিযুক্ত শ্রমিক আসফাক আসলাম থাকছিল। অভিযোগ, স্থানীয় আলুভা এলাকায় একটি বাজারের পিছনে জলাভূমি এলাকায় বস্তায় ভরে শিশুর নিথর দেহ লুকিয়ে রেখেছিল সে। পুলিশের দাবি সে জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে। জঘন্য এই অপরাধে দোষ প্রমাণিত হলে অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি উঠেছে সর্বস্তরে।