এমন কী রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া ভাজাভুজি খাবারের সঙ্গে যে সস দেওয়া হয় তাতেও প্রচুর পরিমাণে কার্সিনোজেনিক জাতীয় পদার্থ রয়েছে। এগুলি রোজ খেলে ক্যানসারও হতে পারে।
আরও পড়ুন: সামনেই দোল, কম খরচে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ভেষজ রঙ! ত্বক ও চুলের ক্ষতি হবে না, রঙিন হবে রঙের উৎসব
advertisement
ফুলকপির মাঞ্চুরিয়ান ও রঙিন কটন ক্যান্ডি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে এগুলিতে ক্যানসার সৃষ্টিকারি রোডামাইন-বি এবং টারট্রাজিন ব্যবহার করা হয়। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুটি খাবার বিপজ্জনক বলে জানিয়েছে।
কর্ণাটকের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা খাবারের গুণমান পরীক্ষা করার জন্য রাস্তার ধারের বিভিন্ন খাবারের দোকান এবং হোটেল থেকে প্রায় ১৭১ টি খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিউজ18 কে বলেছেন, “আমাদের অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে যে এই খাবারগুলিতে প্রায় ১০৭ টি কৃত্রিম রঙ পাওয়া গিয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। আমরা মাত্র ৬৪ টি খাবার পেয়েছি যেগুলি তুলনামূলক নিরাপদ, আর সেটাই উদ্বেগের কারণ। আমরা অবিলম্বে এগুলি নিষিদ্ধ করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি।”
এই নিষেধাজ্ঞার সঠিক ভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য যেকোনও মুহূর্তে স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা এইসব দোকানগুলিতে অভিযান চালাতে পারেন। তাঁরা আরও বলেন “এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে ৭ বছরের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আইনের কঠোরতম ধারায় মামলা করাও হতে পারে। কেউ মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য নিয়ে খেলা করতে পারে না।”
রোডামাইন-বি কি?
রোডামাইন-বি একটি ক্ষতিকারক রাসায়নিক রঙের জামাকাপড় রং করতে বা কাগজ শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
এই পদার্থটি ‘উজ্জ্বল রঙের’ হওয়ায় ফুলকপি মাঞ্চুরিয়ান বা গোলাপি কটন ক্যান্ডির মতো খাবার তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হয়। একটি কার্সিনোজেনিক এজেন্ট হিসাবে স্বীকৃত, নিয়মিত এটি খেলে ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।