এই যেমন কর্ণাটকের উত্তরের একটি গ্রাম সিরসি তালুক(Karnataka Cow Swallows Gold Chain)। এখানেো গরুকে শুধু গো-মাতা হিসেবে নয় মা লক্ষ্মীর আর এক রূপ ভেবেও পুজো করা হয়। এখানকার মানুষ। গরুর গলায় সোনার গয়না পরিয়ে , ফুল দিয়ে সাজিয়ে পুজো করেন। তারপর পুজো হয়ে গেলে খুলে নেওয়া হয় সব সোনার গয়না।
advertisement
আর এই গয়না পরিয়ে পুজো করতে গিয়েই এই গ্রামের শ্রীকান্ত হেগদের জীবনে ঘটে গেল বিপর্যয়। শ্রীকান্ত ও তাঁর পরিবার ধুম-ধাম করেই গো-মাতার পুজোর আয়োজন করেন। তাঁর কাছে একটি চার বছরের গরু ও বাছুর রয়েছে।
চার বছর বয়সী গরুটিকে গো-মাতা হিসেবে(Karnataka Cow Swallows Gold Chain) সোনার গয়না পরিয়ে , ফুল দিয়ে সাজিয়ে পুজো করা হয়। গরুর গলায় পরানো হয় একটি ১৮ গ্রাম ওজনের সোনার হার। পুজো শেষে হার খুলে ফুলের থালায় রাখা হয়েছিল। কিছু না বুঝেই গরুটি ফুল খাওয়ার সময় সেই সোনার হারটিও খেয়ে নেয়। এর পর হারের খোঁজ পরলে এবং খুঁজে না পাওয়া গেলে, সকলের সন্দেহ হয় গরুটি খেয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ছেলের জন্য এক হলেন মালাইকা-আরবাজ খান ! ডিভোর্স, প্রেমকে দূরে রেখে ফের এক সঙ্গে তাঁরা
এর পর থেকে টানা একমাস ওই পরিবার সকাল বিকেল গরুটির দিকে নজর রাখে। প্রতদিন নিয়ম করে গোবর ঘেঁটে দেখে, কোনও সোনার হার পেট থেকে বেরিয়েছে কিনা। কিন্তু হতাশ হয়ে, একমাস পর ডাক্তারের কাছে যায় ওই পরিবার।
আরও পড়ুন: মাথায় সিঁদুর,বেনারসি! বাঙালি সাজে জয়পুরেই বিয়ে সারলেন সায়ন্তনী ঘোষ!
ডাক্তার মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চরক করে বলেন(Karnataka Cow Swallows Gold Chain) গরুর পেটে আটকে আছে সোনার হার। এরপর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করা হয়। এবং গরুটির পেটে অপারেশন করে বের করা হয় সোনার হার। তারপরে ফের হাতে পায় সোনার হারটি। তবে এই গোটা ঘটনায় বিপদে পড়তে হয় গরুটিকে। কারণ গরুর পেটে অপরেশন করা মোটেও ভাল কথা নয়। তাও এই কারণে। যদিও জানা গিয়েছে, গরুটি এখন ভাল আছে। সে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।