এদিন বেঙ্গালুরুতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় শিবকুমার বলেন, ‘‘সনিয়া গান্ধি ২০ বছর কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন৷ তিনি ক্ষমতা ত্যাগ করেছেন৷ আবদুল কালাম (তৎকালীন রাষ্ট্রপতি) তাঁকে ফোন করেছিলেন৷ কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছিলেন মনমোহন সিং-ই দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারে৷’’
advertisement
সনিয়া গান্ধির প্রশংসা করার পাশাপাশি, শিবকুমার কর্ণাটকের ভোটারদের উদ্দেশ্যেও সিদ্দারামাইয়া নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন অব্যাহত রাখার আবেদন জানান এবং ২০২৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা যেন তাঁর দলকে সমর্থন করেন, সে বিষয়ে আর্জি জানান তিনি।
২০২৩ সালে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পরে যে প্রশ্নে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কংগ্রেসের অন্দরমহল, তা হল মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? একদিকে যেমন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া কিছুতেই ক্ষমতা ছাড়ছিলেন না, অন্যদিকে, কংগ্রেসের জয়ের পিছনে থাকা অন্যতম কারিগর শিবকুমারও নিজের হকের হিসাবটা বুঝে নিতে চাইছিলেন৷ যখন কোনও কিছুতেই সামাল দেওয়া যায়নি, সমস্যা মিটিয়েছিল একটা মাত্র ফোন কল৷ যা শিবকুমারকে করেছিলেন সনিয়া গান্ধি৷
কংগ্রেসের অন্দর সূত্রের খবর, সনিয়ার কথাতেই সেই সময় ৫ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব আড়াই-আড়াই বছর করে ভাগাভাগি করে নিতে রাজি হয়েছিলেন শিবকুমার৷ চোখের জলে ছেড়ে দিয়েছিলে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি৷ কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দেখা যায়, সিদ্দারামাইয়া ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে উচ্চবাচ্য করছেন না কিছুতেই৷ ফের শুরু হয় দ্বন্দ্ব টানাপড়েন৷
শিবকুমার সম্প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেন, ‘‘কথার জোরই পৃথিবীর জোর৷ আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করা পৃথিবীর অন্যতম সেরা ক্ষমতার মধ্যে একটা৷’’ এর সরাসরি উত্তর না দিলেও সিদ্দারামাইকে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে লিখতে দেখা যায়, ‘কোনও প্রতিজ্ঞা যতক্ষণ না মানুষের ভাল করছে, ততক্ষণ তাতে কোনও জোরই নেই৷’
এমন পরিস্থিতিতে সনিয়া ও রাহুল গান্ধির সঙ্গে কথা বলে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের আগেই কর্ণাটক কংগ্রেস দ্বন্দ্ব পর্বের সমাধান খুঁজবেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে৷ এরমধ্যে প্রকাশ্যে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয় না আনার বিষয়েও রাজি হয়েছেন শিবকুমার-সিদ্দারামাইয়া দুপক্ষ৷
