সিনেমার প্রোডিউসার হিসেবে খ্যাত মুনিরত্ন কর্ণাটকের রাজারহেশ্বরী কেন্দ্র থেকে চার বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন৷ বর্তমানেও তিনি ওই কেন্দ্রের বিধায়ক৷
অভিযোগকারিণী মহিলা বিজেপি-রই একজন দলীয় কর্মী৷ মঙ্গলবার আরএমসি ইয়ার্ড থানায় দলের বিধায়ক মুনিরত্নের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেন৷ নির্যাতিতার অভিযোগ, গত বছর ১১ জুন বিধায়কের মাথিকেরের অফিসে এই ঘটনা ঘটে৷ বিধায়কের সঙ্গীরাই একটি গাড়িতে করে তাঁকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন ওই নির্যাতিতা৷
advertisement
নির্যাতিতার অভিযোগ, ওই অফিসে পৌঁছনোর পরই বিজেপি বিধায়ক এবং তাঁর দুই সঙ্গী মিলে তাঁকে নগ্ন হতে বাধ্য করেন৷ এর পর মুনিরত্ন তাঁর দুই সঙ্গীকে তাঁকে ধর্ষণ করার নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার৷ বাধা দিলে তাঁর ছেলের প্রাণহানির হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতা৷
নির্যাতিতা আরও অভিযোগ করেন, বিধায়কের দুই সঙ্গী তাঁকে গণধর্ষণ করার পর মুনিরত্ন এগিয়ে এসে তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেন৷ এর পর আরও এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ঘরে ঢুকে বিধায়কের হাতে একটি সাদা বাক্স তুলে দেন৷ এর পরই ওই সাদা বাক্স থেকে একটি সিরিঞ্জ বের করে তাঁর শরীরে ইঞ্জেকশন দিয়ে দেন বিজেপি বিধায়ক মুনিরত্ন৷
নির্যাতিতা দাবি করেছেন, কাউকে কিছু জানালে তাঁর পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেন বিজেপি বিধায়ক৷ বিধায়কের তিন সঙ্গীকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে পুলিশ৷ চতুর্থ অভিযুক্তের পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷
জানুয়ারি মাসে ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর শরীরে একটি দুরারোগ্য ভাইরাসের খোঁজ মেলে৷ ওই মহিলার আশঙ্কা, বিধায়ক তাঁকে যে ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন তার থেকেই এই ভাইরাস তাঁর শরীরে প্রবেশ করেছে৷ গত ১৯ মে নিজের শারীরিক অবস্থার জেরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে ওই মহিলা কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন৷ এর পরই গোটা বিষয়টি পুলিশ জানতে পারে৷ যদিও অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক মুনিরত্নের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
মহিলার দাবি, এর আগে মিথ্যে মামলা করে তাঁকে জেল খাটিয়েছেন৷ জেল মুক্তির পরে বিধায়কের সঙ্গীরা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে মুনিরত্ন তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন৷ মামলা প্রত্যাহারের টোপ দিয়েই তাঁকে বিজেপি বিধায়কের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি নির্যাতিতার৷
বিধায়ক এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, অন্যের শরীরে অসাধু উদ্দেশ্যে জীবনহানিকর রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়া, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷