সে রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিজেপি নেতা সিএন অশথ্থ নারায়ণ বলেছেন, "কংগ্রেস সবসময়েই পিএফআই-কে সমর্থন করেছে। তাই ওদের কোনও অধিকার নেই বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার। কংগ্রেস তাদের তোষণের রাজনীতি ফের ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। এরা উন্নয়নের পক্ষে নয়। জনগণের উচিত কংগ্রেসকে পরাজিত করা। কারণ, তারা রাজ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।"
advertisement
এদিকে, কংগ্রেসের এবারের ইস্তেহারে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের নীতিরও একাধিক প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। এই বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হলে কর্নাটকের মহিলাদের গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পের আওতায় প্রতিমাসে ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। একইভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মহিলাদের টাকা দেয় বাংলা সরকার। অন্যদিকে, যুবশ্রী প্রকল্পের অনুকরণে বেকার যুবকদের প্রতি মাসে ভাতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এনআরসি, সিএএ বড় ভরসা বিজেপির। কর্নাটকে বিজেপি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে চালু হবে এনআরসি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। ভোটমুখী কন্নড়ভূমে সোমবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে বিজেপি নেতৃত্বের। ঘোষণা করেন, তাঁরা এই দফায় ক্ষমতায় এলে বিপিএল তালিকাভুক্তদের জন্য বছরে তিনবার বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার আর প্রতিদিন আধ লিটার দুধ দেওয়া হবে। বিজেপি-র ইস্তেহারে পাঁচ বছরে মোট ১৫ লক্ষ বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরু শহরে বাসস্থানের সমস্যা মেটাতে এবার ১৯৭২ সালের আইন সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেড-এর ঠিক নীচে এসে ঘাপটি মেরে বসে আছে ওটা কী, সাপ না গোসাপ, এ কেমন হাসপাতাল
এছাড়াও, বয়স্কদের জন্য বছরে একবার বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় থাকাকালীন দরিদ্রদের সস্তায় খাবার দিতে চালু করা হয়েছিল ইন্দিরা ক্যান্টিন। তাঁর মোকাবিলায় এবার শহরাঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ডে অটল আহার কেন্দ্র চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এর পাশাপাশি, প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি তৈরির প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে ইস্তেহারে।
রাজীব চক্রবর্তী