রাজস্থানের করৌলি গঙ্গাপুর হাইওয়ের পাশেই বাড়ি বিনোদ কুমার সেনের। গাছগাছালির স্নেহ-ছায়া মাখা এই বাড়িটির অপূর্ব সৌন্দর্য দেখে চোখ ফেরাতে পারেন না পথচারীরা। শুধু সৌন্দর্যই নয়, এর জেরে হাইওয়েতে দূষণের পরিমাণও অনেক কম। বিনোদবাবু জানিয়েছেন যে, তাঁর বাড়িতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ রকমের গাছপালা রয়েছে। অন্দরেই রয়েছে প্রায় ৭০টি গাছ। আর সকাল আর সন্ধ্যার কিছুটা সময় কেটে যায় এই সব গাছপালার পরিচর্যায়। আর ছুটির দিনে তো কথাই নেই। আগাছা পরিষ্কার করার পাশাপাশি গাছের যত্ন নেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে তৈরি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন, সাইক্লোন হয়ে ফুঁসবে যখন...
এমনিতে কৈলা দেবী কমিউনিটি হেলথ বিল্ডিং-এ নার্সিং পরিষেবা প্রদানের কাজ করা সত্ত্বেও গাছের পরিচর্যা নিজের হাতেই করতে পছন্দ করেন বলে জানান বিনোদবাবু। তাঁর কথায়, “সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা এই পরিবেশে মনে হয় সারা দিন ঘরেই থেকে যাই। আর বহু লোকজন দূরদূরান্ত থেকে এসে আমার বাড়িতে ফটোশ্যুটও করে যান।”
তিনি আরও জানালেন যে, তাঁর ওই বাড়ি দেখতে আসা মানুষদের যাতে কষ্ট না হয়, এর জন্য তিনি একটি ওয়াটার কুলারও বসিয়েছেন। যাতে মানুষ ঠান্ডা জল পান করে আরামটুকু পেতে পারেন। শুধু বাড়িতে আসা মানুষই নয়, এই সুবিধাটি লাভ করতে পারেন হাইওয়েতে চলাচলকারীরাও। ক্ষণিকের জন্য গাড়ি থামিয়ে ঠান্ডা জলে গলা ভিজিয়ে নিজেদের তেষ্টাটুকু নিবারণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: মৃৎশিল্পীর স্টার্টআপ! রাজস্থানের গোপাল পথ দেখাচ্ছেন বিকল্প আয়ের!
আর এভাবেই সমাজের উদ্দেশ্যে গাছ লাগানোর বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাইছেন বিনোদবাবু। তিনি বলেন যে, “আমি সবাইকে বলতে চাই আরও বেশি বেশি করে গাছ লাগান। এতে জীবনে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার তো ঘটবেই, সেই সঙ্গে মনও পরিতৃপ্তিতে পূর্ণ হবে। আর বাড়ির পরিবেশও সবুজ শীতল ও সুন্দর হয়ে উঠবে। ঠিক যেভাবে আমার বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধন করছে গাছগাছালি।”