প্রধান মন্দিরটি ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে মুঘল শাসন সূত্রপাতেরও আগে ত্রিপুরার মহারাজা ধনমাণিক্য়ের নির্মিত তিন স্তরীয় ছাদ-সহ একটি ঘনক্ষেত্রের ভবন, যা বাংলার অন্য়তম রত্নশৈলীতে নির্মিত। প্রতি বছর দীপাবলী উপলক্ষে একটি বিখ্যাত মেলা এই মন্দিরের কাছাকাছি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়, যা ০.২ মিলিয়ন তীর্থযাত্রী পরিদর্শন করে।কষ্টিপাথরের তৈরি এখানকার দেবীমূর্তি ।মন্দিরের পবিত্রতম দেবীদের মধ্যে দুটি অনুরূপ কিন্তু বিভিন্ন আকারের কালো পাথর মূর্তি রয়েছে। ৫ ফুট উঁচু ও বৃহত্তর এবং বিশিষ্ট মূর্তিটি দেবী ত্রিপুরাসুন্দরী এবং ছোট মূর্তিটিকে বিশেষভাবে ছোট-মা বলা হয়, এটি ২ ফুট লম্বা এবং দেবী চণ্ডীর মূর্তি।
advertisement
আরও পড়ুন : বিপদের খনি! ভুলেও আতা খাবেন না এঁরা! ব্লাড সুগারে কি আতা ক্ষতির আড়ত? জেনে নিন
লোককথা বলে যে ছোট মূর্তিটি ত্রিপুরা রাজারা যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যান। কালীপুজোর সময় তিন দিনব্যাপী বিরাট মেলা হয় এই মন্দিরকে ঘিরে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিঘির শহর বলে পরিচিত ত্রিপুরার উদয়পুরের প্যাঁড়া বেশ বিখ্যাত। ভারত তো বটেই, পড়শি দেশ বাংলাদেশ-সহ পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমান এই মেলায়৷ সত্যি বলতে, ত্রিপুরাতে এমন কোনও বড় কাজ হয় না যা মাকে আগে জানানো হয় না। আগে মাকে প্রার্থনা করে জানানো হয়। ভক্তদের উপলব্ধি যে এই মন্দিরে খুব ভাল ভাবে ধ্যান করা যায়। এই দেবালয়ে ধ্য়ান করলে অদ্ভূত ভাবে মন স্থির হয়ে ওঠে।