তরুণ তুর্কি শুভম এই মুহূর্তে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত পাওয়ারগ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ায় ৷ তাঁর ‘সন্তান’ শুভমকে আশীর্বাদ করে নোবেলজয়ী লিখেছেন, ‘‘তুমি প্রকৃত অনুপ্রেরণা৷’’
শুভমের পরিবার আদতে রাজস্থানের প্রতাপগড়ের ৷ তেরো বছর বয়সে পরিযায়ী হয়ে তাকে আসতে হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরে ৷ পরিবারের আর্থিক হাল ধরতে কাজ শুরু করেছিলেন এক রেস্তরাঁয় ৷
অবশেষে ২০০৯ সালে মুক্তির আলো ৷ পৌঁছেছিল কৈলাস সত্যার্থীর ‘বচপন বঁচাও’ আন্দোলনের মাধ্যমে ৷ স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কিশোর শুভমকে উদ্ধার করেছিল কৈলাসের প্রয়াস ৷
শুভমের পরের গন্তব্য জয়পুরের শিশুআশ্রম ৷ তিন মাস সেখানেই পড়াশোনার পর পা রাখেন স্থানীয় সরকারি স্কুলে ৷ ধুলোমুঠি করে বড় হওয়া শুভম সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি ৷ মনপ্রাণ এক করে পড়াশোনায় একের পর এক ধাপ পেরতে থাকেন ৷ অতীতকে মনে রেখেছিলেন বলেই হয়তো শান বাঁধানো হয়েছিল তাঁর লড়াই ৷ শিকড়ের টানেই কলেজজীবনে চলে যেতেন গ্রামে, নিখরচায় শিশুদের পড়াবেন বলে ৷
ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পরও থামেনি তাঁর উড়ান ৷ সম্মাননীয় ফেলোশিপ পেয়ে আরও তীক্ষ্ণ করতে চান তাঁর দক্ষতা ৷ তরুণ প্রজন্মের কাছে শুভমের আর্জি যেন মনে করিয়ে দেয় বিদ্রোহী কবির লেখাকেই ৷ তাঁর মাতৃভূমি তথা এই বিশ্বকে শিশুদের কাছে বাসযোগ্য করে তোলার কাজে সামিল হোক নবীন প্রজন্ম ৷ বলছেন শুভম ৷
তাঁর মতো আরও অসংখ্য শুভমকে অন্ধকার থেকে আলোর দিশা দেখিয়েছেন কৈলাস সত্যার্থী৷ সেই আলোর পথযাত্রীদের কৃতিত্বেই উদ্ভাসিত নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত এই সমাজসেবী ৷