TRENDING:

Justice Abhijit Ganguly: ভিড়ে উপচে পড়ল এজলাসে, 'পূর্ব পরিচিত' মানিককে কী কী প্রশ্ন করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

Last Updated:

শুনানি পর্বের শেষে মানিক ভট্টাচার্যকে ডেপুটি শেরিফের ঘরে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে চা, কফি অথবা ঠান্ডা পানীয় দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: ভিড়ে থিক থিক করছে হাইকোর্টের ১৭ নম্বর কোর্ট৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো ততক্ষণে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বহিষ্কৃত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে নিয়ে এসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির করিয়েছে পুলিশ৷ এর পরেই মানিক ভট্টাচার্যকে একের পর এক প্রশ্ন করতে শুরু করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ তার মধ্যে কিছু প্রশ্নের উত্তর মানিক দিয়েছেন, কিছু প্রশ্ন খেয়াল নেই বলে এড়িয়ে গিয়েছেন৷
মানিক ভট্টাচার্যকে হাইকোর্টে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের৷
মানিক ভট্টাচার্যকে হাইকোর্টে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের৷
advertisement

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন প্রশ্নোত্তর পর্বে মনে করিয়ে দেন, মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর পূর্ব পরিচয় রয়েছে৷ কিন্তু এখন তিনি বিচারপতির আসনে রয়েছেন৷ সেই চেয়ারে বসে সত্যিটা সামনে আনা যে তাঁর দায়িত্ব, এ কথাও মানিককে মনে করিয়ে দিেয়ছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ বিচারপতির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মানিকও দাবি করেন, তিনিও চান সত্য সামনে আসুক৷ জেল বন্দি তৃণমূল বিধায়কের কথায়, সত্য সততই সুন্দর৷

advertisement

প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে মানিককে একের পর এক প্রশ্ন করেন বিচারপতি৷ এর অধিকাংশই ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত৷ এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কী কী প্রশ্ন করলেন, মানিক ভট্টাচার্যই বা তার কী জবাব দিলেন-

বিচারপতি: ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কী জানেন?

মানিক: আদালত ডেকেছে তাই এসেছি। আমি জেলে রয়েছি। আমার কাছে কোনও তথ্য বা নথি নেই। তাই স্মরণে যা আছে তাই বলতে পারি।

advertisement

বিচারপতি: ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সিলেকশন কমিটি তৈরি করা হয়েছিল?

মানিক: হ্যাঁ, করা হয়েছিল। যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা পর্ষদ নিয়েছিল।

বিচারপতি: ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফলপ্রকাশ কে করেছিল?

মানিক: এই প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। যেমন টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ, ইন্টারভিউ, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ইত্যাদি। ফলে এগুলি বিভিন্ন পর্যায়ে হয়েছিল।

advertisement

বিচারপতি: বাইরের কোনও সংস্থাকে রেজাল্ট প্রস্তুত করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল?

মানিক: এই পুরো প্রক্রিয়া পর্ষদ পরিচালনা করছে। তবে হ্যাঁ, একটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন তার নাম স্মরণে নেই।

বিচারপতি: এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে কোনও সংস্থার নাম শুনেছেন?

মানিক: হ্যাঁ ওই ধরনের নাম শুনেছি। কিন্তু নিশ্চিত নই।

advertisement

বিচারপতি: সভাপতি হিসাবে আপনার সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে? তা ঠিক?

মানিক: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল। তখন কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। এমন কোনও রিপোর্ট আমার কাছে আসেনি।

বিচারপতি: ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ নীতি মানা হয়েছিল, এটা আপনি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন?

মানিক: যতদূর মনে পড়ছে আইন অনুযায়ী হয়েছিল।

আরও পড়ুন: 'এটি ক্রিমিনাল কেস', প্রবল চাপে পড়লেন শতরূপ-বিমান-সেলিম! আরও বড় হুঁশিয়ারি কুণালের

এর পরেই বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, 'যাওয়র পথে একটা অনুরোধ করব। এই সংক্রান্ত যে কোনও মামলায় আমাকে ডেকে পাঠাবেন। ১৫ মিনিট আগে বললেই আমি চলে আসব। পরে আমার বিরুদ্ধে যাই পদক্ষেপ করবেন মেনে নেব। একটা ছোট গল্প ছিলো।'

আরও পড়ুন: সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে তোড়জোড়, আব্দুল লতিফ নিয়ে বড় পদক্ষেপ CBI-এর

জবাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আপনার সঙ্গে আমার পূর্ব পরিচিতি কাজের সূত্রে। কিন্তু বিচারপতির চেয়ারে বসে আমি সত্য সামনে আনার কাজ করবো আমার বিচারের মাধ্যমে। কোনও ছোটগল্প শোনার জায়গা কোর্ট নয়৷ সত্য সামনে আসা দরকার।' জবাবে মানিক বলেন, 'আমি সত্যিটাই বলতে চাই। সত্য সহজ, সত্য সুন্দর। সত্য সততই সুন্দর।'

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

শুনানি পর্বের শেষে মানিক ভট্টাচার্যকে ডেপুটি শেরিফের ঘরে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে চা, কফি অথবা ঠান্ডা পানীয় দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'দশচক্রে ভগবান ভূত। মানিক ভট্টাচার্য আমাদের ডেপুটি শেরিফের শিক্ষক ছিলেন।'

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Justice Abhijit Ganguly: ভিড়ে উপচে পড়ল এজলাসে, 'পূর্ব পরিচিত' মানিককে কী কী প্রশ্ন করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল