ফাটল দেখা দেওয়ায় ইতিমধ্যেই যোশীমঠের ৭২৩টি বাড়িকে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১৩১টি পরিবারকে। গত মঙ্গলবার থেকেই বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা যোশীমঠের দুটি হোটেল ভাঙার কাজ করতে চাইছিল প্রশাসন। কিন্তু, মঙ্গলবার এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়ে সে কাজ না করেই ফিরে আসতে হয় ইঞ্জিনিয়ারদের।
আরও পড়ুন - চার কিশোর-কিশোরী চোখে স্বপ্ন নিয়ে জাতীয় মঞ্চে তলোয়ার হাতে, সাব জুনিয়র ন্যাশানালে বড় পরীক্ষা
advertisement
বুধবার ফের NDRF, SDRF এবং পুলিশকর্মীদের নিয়ে হোটেল দুটি ভাঙতে যান ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু তাঁদের দেখা মাত্রই ফের বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ না দিলে বাড়ি ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন বাসিন্দারা।
পরিস্থিতি সামলাতে বুধবার গভীর রাতেই যোশীমঠ পৌঁছন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। জানান, আপাতত, প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ত্রাণকাজ চলছে। বাকি ক্ষতিপূরণ বসতবাটির বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী ঠিক করা হবে। গোটা ত্রাণ প্রক্রিয়ার জন্য আপাতত ৪৫ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ধামি।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের মতো শহরের আয়ু আর মাত্র কটা দিন! ধ্বংসের পিছনে কারণ জানলে অবাক হবেন
স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করে ধামি বলেন, "যোশীমঠের মানুষের পাশে আমরা রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নিজে ব্যাপারটা দেখছেন। তাঁর পূর্ণ সাহায্য আমি পাচ্ছি। আপনাদের সব সমস্যা খতিয়ে দেখা হবে।"
ত্রাণের অর্থ বণ্টনের জন্য ইতিমধ্যেই একটি ১৯ সদস্যের দল গঠন করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। দলের শীর্ষে রয়েছেন চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা।
বৃহস্পতিবার সেনা, ITBP, NDRF-এর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ধামি। বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনের গবেষকদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা তাঁর। কোন কোন জায়গা বর্তমান ধসপ্রবণ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করা সম্ভব, এ সমস্তই আলোচনা হবে বৈঠকে।
এই সবের মাঝে নতুন করে তুষারপাত ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে জোশীমঠে। তেমন হলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হবে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।