এই মুহূর্তে যোশীমঠের অস্তিত্বই সঙ্কটের মুখে। উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ের বুকে গড়ে ওঠা এই মন্দির শহরের প্রায় সাতশো বাড়িতে বড় বড় ফাটল ধরা পড়েছে। ফাটল শুরু হয়েছে রাস্তাতেও। স্থানীয়রা অবশ্য় এর জন্য় তপোবন জলবিদ্য়ুৎ প্রকল্পের কাজের দিকেই আঙুল তুলেছেন।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের মতো শহরের আয়ু আর মাত্র কটা দিন! ধ্বংসের পিছনে কারণ জানলে অবাক হবেন
advertisement
২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত উপগ্রহ চিত্র থেকেই পরিষ্কার, ধীরে ধীরে বসে যাচ্ছে যোশীমঠ এবং তার আশেপাশের এলাকা। উপগ্রহ চিত্রের উপরে লাল বিন্দুগুলি যেখানে রয়েছে, সেই এলাকাগুলিই বসে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি। দেখা যাচ্ছে, যোশীমঠ ছাড়িয়ে তার আশেপাশের এলাকাতেও এই লাল বিন্দু ছড়িয়ে রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত যোশীমঠের বাসিন্দা অন্তত ১১০টি পরিবার শহর ছাড়তে বাধ্য় হয়েছে। গোটা শহরটাই খালি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন।
এই মুহূর্তে যোশীমঠের ৬৭৮টি বাড়ি ছাড়াও একাধিক হোটেল এবং ব্য়বসায়িক প্রতিষ্ঠানেও বড় বড় ফাটল ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার থেকে এই বিপজ্জনক নির্মাণগুলি ভাঙার কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয়দের বিক্ষোভে সেই কাজ শুরু করা যায়নি।
শুধু যোশীমঠ নয়, মন্দির শহরের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত কর্ণপ্রয়াগের বহুগুনা নগরেও অন্তত ৫০টি বাড়িতে গত কয়েক মাসে ফাটল দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।