ধর্মনগরী যোশীমঠে ভূমিধসের বিষয়টি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নজরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্য সচিব পি.কে. মিশ্রের সভাপতিত্বে রবিবার পিএমওতে একটি বড় বৈঠক হতে চলেছে। এই বৈঠকে যোশীমঠের ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। যোশীমঠ সঙ্কটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি.কে. মিশ্র ছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের আধিকারিক সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে হাজির থাকবেন। বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য চেয়েছেন।
advertisement
সিএম ধামি নিজেই ট্যুইট করে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "যোশীমঠের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনের মাধ্যমে কথা বলেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ এবং সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।" প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে যোশীমঠের পরিস্থিতি এবং এলাকায় সরকার কর্তৃক পরিচালিত নিরাপত্তা কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন এবং যোশীমঠকে বাঁচাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে, ক্রমশ সংকট ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে যোশীমঠে। জ্যোতিষ পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ মহারাজ এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। যোশীমঠের মানুষের সঙ্গে সংহতি জানাতে ধর্মনগরী পৌঁছেছেন শঙ্করাচার্য। যোশীমঠে ভূমিধসের মামলা সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। জ্যোতিষ পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ মহারাজ এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: শঙ্করাচার্য মঠে ফাটল, ফাটল চিন সীমান্তগামী সড়কেও, যোশীমঠের বিপর্যয় সামলাতে বৈঠকে PMO
উল্লেখ্য,এরপরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি বড় বৈঠক হতে যাচ্ছে এই পরিস্থিতি নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই সংকটের ভয়াবহতা এবং তা মোকাবেলার উপায় নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু বাড়ি এবং রাস্তাতে বড় ফাটল দেখা দেওয়ায় যোশীমঠে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে গত দু'দিনে। বিষয়টি নজরে আসার পর বিলম্ব না করে সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।