পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ-পশ্চিম) মনোজ সি জানিয়েছেন, সোমবার সকালে জেএনইউএসইউ, এসএফআই, ডিএসএফ এবং এআইএসএর একটি ছাত্রগোষ্ঠীর কাছ থেকে অভিযোগ পান তাঁরা৷ তিনি বলেন, “আমরা ধারা ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৩৪১ (বলপূর্বক আটকে রাখা), ৫০৯ (কোনও মহিলার শালীনতাকে অবমাননা করার উদ্দেশ্যে শব্দপ্রয়োগ, অঙ্গভঙ্গি বা কোনও কাজ), ৫০৬ (ভয় দেখানো) এবং ৩৪ (অ্যাক্টস) এর অধীনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এবিভিপির ছাত্ররাও জানিয়ে দিয়েছে যে তারাও অভিযোগ দেবে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: এত বড় কাতলা! পদ্মার রেকর্ডধারী মাছটির ওজন আর দাম শুনলে চমকে উঠতেই হবে!
বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷ যার মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে এক ছাত্রের মাথা থেকে রক্তপাত হচ্ছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা ভিডিওগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেননি। সূত্রের খবর, সোমবারই বাম দলের ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন।
সূত্রের খবর, রামনবমীতে জেএনইউ-এর দু’টি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা কাবেরী হস্টেলে আমিষ খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ অভিযোগ করেন, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যরা তাঁদের আমিষ খেতে বাধা দেন। বহু পড়ুয়া সদস্য এই ঘটনায় আহত হন।
এবিভিপি জাতীয় মিডিয়া আহ্বায়ক সিদ্ধার্থ যাদব আইএএনএসকে বলেছেন, “আমরা কোনও পুজোর আয়োজন করিনি৷ বরং এটি কাবেরী হোস্টেলের সাধারণ ছাত্ররা আয়োজন করেছিল। গত ৯দিন থেকে সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল কিন্তু বাম সংগঠনের সদস্যরা হট্টগোল সৃষ্টি করেছে এবং পুজো চালিয়ে যেতে বাধা দিয়েছে।" তিনি আরও বলেন যে, হস্টেলে আমিষ খাবার জোর করে নিষিদ্ধ করার কোনও ইস্যু ছিল না বরং বাম জোটের সদস্যরা রামনবমী উপলক্ষে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় ইফতার এবং রামনবমীর শান্তিপূর্ণ একযোগে উদযাপনের সাক্ষী ছিল। JNUতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকে। বামপন্থীরা অবশ্য এই সত্যটি হজম করেবেন না৷”
সিদ্ধার্থ যাদব বলেন, এবিভিপি জেএনইউ যুগ্ম সম্পাদক বিকাশ কুমার ঘটনার সময় আহত হয়েছেন। তাঁর আঙ্গুল ভেঙে গিয়েছে৷ রবি রাজ নামে আরেক ছাত্র তার মাথায় আঘাত পেয়েছো। দিব্যা নামে এক ছাত্রীও হাতে জখম হয়েছে।
জেএনইউএসইউ তরফে জানানো হয়েছে, “মেনুতে নিরামিষ এবং আমিষ আইটেম রয়েছে৷ ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী এটি খাও৷। কিন্তু, ABVP পেশী শক্তি এবং তার 'গুন্ডাবাদ' ব্যবহার করে একটি সম্পূর্ণ হট্টগোল তৈরি করছে এবং তাদের ব্রাহ্মণ্যবাদী আধিপত্যবাদের আদর্শকে শক্তিশালী করার জন্য কর্মীদের মারধর করে এবং কোনও আমিষ জাতীয় খাবার প্রস্তুত করতে নিষেধ করেছেন৷"
আহত ছাত্রদের সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেএনইউ প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়ম লঙ্ঘন করেছে তাদের কঠোর পরিণামের সম্মুখীন হতে হবে।