আরও পড়ুনঃ শাশুড়ি-বউমা জুটির কামাল! রুক্ষ-পাথুরে জমিতে চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগারের দিশা
কিরণের এই দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রাপথ কোনও ব্যক্তির দ্বারা সঙ্ঘটিত পৃথিবীর দীর্ঘতম যাত্রাপথ বলে মনে করা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াই এই পদযাত্রার একমাত্র উদ্দেশ্য। কিরণ ভার্মা প্রায় ৫০ লক্ষ নতুন রক্তদাতাকে রক্তদানে উৎসাহিত করতে এই যাত্রা শুরু করেছেন। তাঁর অন্যতম লক্ষ্য যাতে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ সালের পর ভারতে রক্তের অভাবে কেউ মারা না যান, যাতে ব্লাড ব্যাঙ্ক বা হাসপাতালে কখনই রক্তের অভাব না হয়।
advertisement
তিনি জানান পদযাত্রা চলাকালীন দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০১টি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ২২ হাজার ইউনিটেরও বেশি রক্ত আপাতত সংগ্রহ করা গিয়েছে। ক্যাম্প ছাড়াও ৭০০০ বেশি রক্তদাতা এই প্রচারকে সমর্থন করার জন্য ভারত এবং বিদেশের বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত দিয়েছেন।
কিরণ ভার্মা সিম্পলি ব্লাড সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এই অভিযানের কথা তাঁর মাথায় আসে যখন দিল্লিতে থাকাকালীন তাঁর রক্ত সেখানকার একটি দরিদ্র পরিবারের কাছে বিক্রি হয়। স্বামীর চিকিৎসার খরচ মেটানোর জন্য ওই মহিলা শেষ পর্যন্ত পতিতাবৃত্তিতে নামেন।
২০২১৬ সালের কথা, সে সময় হঠাৎই তাঁর কাছে একটি ফোন আসে যাতে এক ব্যক্তি জানান, যে রায়পুরে একটি দরিদ্র পরিবার রয়েছে যাদের রক্তের প্রয়োজন। বিষয়টি জানার পর ওই পরিবারকে রক্ত দিতে হাসপাতালে যান কিরণ। সেখানে পরিবারের অসহায়ত্ব দেখে তিনি মুষড়ে পড়েন। ওই দিনই তিনি চাকরি ছেড়ে এই অভিযান করার সংকল্প নেন। কিরণ নিজের লক্ষ্য স্থির করেন যে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে রক্তশূন্যতার কারণে কেউ মারা যাবেন না। তিনি জানান যে, ভারতে প্রতিদিন ১২০০০-এরও বেশি মানুষ রক্তের অভাবে মারা যান। প্রায় ৫০ লক্ষ্য যুবক রক্ত দিতে শুরু করলে দেশে রক্তের অভাবে একটি মৃত্যুও হবে না।
কিরণ ভার্মা একজন সমাজকর্মী। এরই মধ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘চেঞ্জ উইথ ওয়ান ফাউন্ডেশন’। এর অধীনে আপাতত কিরণ দুটি প্রোগ্রাম পরিচালনা করছেন- সিম্পল ব্লাড এবং চেঞ্জ উইথ ওয়ান মাইল। গত ৯ এপ্রিল কিরণ ভার্মাকে ক্রিকেটার সুরেশ রায়না, দীপক চাহার, আকাশ চোপড়া এবং তাঁদের স্ত্রীদের সঙ্গে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-তেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।