তিনি ঝাড়খণ্ডকে প্রথম স্থায়ী সরকার দিয়েছেন। কিন্তু, তাঁর সরকার আর স্থায়ী হল না। রঘুবর দাসই ঝাড়খণ্ডের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি পাঁচ বছরের মেয়দ পূরণ করেন। কিন্তু, শেষরক্ষা আর হল না। পর্যবেক্ষকদের মতে, এর পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ দলীয় কোন্দল এবং অবশ্যই আদিবাসী ফ্যাক্টর।
ঝাড়খণ্ডে ৮১টির মধ্যে ২৮টি আসন আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত ৷ জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ আদিবাসী ৷ ২০১৪ সালের আগে ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী ছাড়া কেউ মুখ্যমন্ত্রীই হননি। কিন্তু পাঁচ বছর আগে নরেন্দ্র মোদি ভিন্ন পথে হাঁটেন। রঘুবর দাস মতো ওবিসি মুখকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসান ৷ টাটা স্টিলের প্রাক্তন এই কর্মী বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ৷ জামশেদপুর পূর্ব কেন্দ্রে ১৯৯৫ সাল থেকে পাঁচ বারের বিধায়ক ৷ ২০০৪ সালে ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সভাপতি হন ৷ ২০০৫ সালে ঝাড়খণ্ডের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ৷
advertisement
২০০৯ সালে উপমুখ্যমন্ত্রী পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, আদতে ছত্তীসগড়ের বাসিন্দা, রঘুবর দাস আদিবাসী সম্প্রদায়ের না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় অনেকের মনেই ক্ষোভ তৈরি হয়। রঘুবর দাসের সরকারের নানা পদক্ষেপেরও বিরোধীতায় সরব হন আদিবাসীদের অনেকে। পাঁচ বছরে সরকারি বিরোধী হাওয়াটা ক্রমেই তীব্র হতে থাকে। গোঁদের উপর বিষফোঁড়া - পদ্মে কোন্দলের কাঁটা।
ঝাড়খণ্ডের খাদ্যমন্ত্রী, জামশেদপুর পশ্চিমের বিধায়ক সরযূ রায় এবার টিকিট না পেয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়েন জামশেদপুর পূর্বে, মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ সরযূ রায় একাধিক দুর্নীতির মামলা তিনি ফাঁস করেছেন। যার জেরে লালুপ্রসাদ যাদব, জগন্নাথ মিশ্র এবং মধু কোরার মতো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা দোষীও সাব্যস্ত হন। এবার ভোটের ময়দানে সেই সরযূ-কাঁটাতেই বিদ্ধ হলেন রঘুবর দাস।