সোমবার নির্বাচিত হওয়ার পর প্রাক্তন বাঙালি আইএএস আধিকারিক জানান, 'কেন্দ্র সরকারের ত্রুটি, সমালোচনার আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পেলাম। যাঁকে নিয়ে এত সমস্যা এবার তাঁকে সামনে পাব।' একইসঙ্গে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার নিন্দাও করেন জহর সরকার। সেই পদেই বুধবার শপথ নিলেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যসভার (Rajya Sabha MP) এই আসনটি ছেড়েছিলেন তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। তার পর থেকে ফাঁকাই পড়েছিল আসনটি। মনে করা হচ্ছিল, দীনেশের জায়গায় মুকুল রায় বা যশবন্ত সিনহার মতো কোনও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদকে প্রার্থী করবেন মমতা (Mamata Banerjee)।
advertisement
বিশেষ করে ভেসে আসছিল যশবন্ত সিনহার নাম। বাজপেয়ী জমানার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কঠিন সময়ে মমতার পাশে ছিলেন। একুশের বিধানসভার আগে এরাজ্যের শাসকদলে যোগ দেন তিনি। লড়াইয়ে ছিলেন সদ্য তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করা মুকুল রায়ও (Mukul Roy)। কিন্তু তা হয়নি। বরং প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইওকে মনোনয়ন দেয় তৃণমূল। কিন্তু তাঁর বিরোধিতায় বিজেপি কোনও প্রার্থী না দেওয়ায় কোনওরকম চ্যালেঞ্জ ছাড়াই এই পদে জয়লাভ করলেন জহর সরকার।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সেই জহর সরকারের মুখে উঠে এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, 'দেখা যাচ্ছে জাতীয় স্তরে, রাজ্যস্তরের নেতাদের কাবু করে দিয়েছে। ফাইটিং স্পিরিট কমে গেছে, তাই বেশি সুবিধে পেয়ে যাচ্ছে। আমরা বলছি সাংবিধানিক মূল্যবোধ মানুন, মমতার ফাইটিং সিনড্রোম।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিন ভালো সম্পর্ক আদ্যন্ত বাঙালি জহর সরকারের। স্কুল জীবন কেটেছে সেন্ট জেভিয়ার্সে। প্রেসিডেন্সি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন তিনি। এর পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। মাস্টার্স করেন সমাজবিদ্যাতেও। বিভিন্ন বিষয়ে সাসেক্স ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিও পান।