অনুষ্ঠানে দাদু ধীরুভাই আম্বানির কথা স্মরণ করে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়েন ইশা। তিনি বলেন, “আমরা সবাই জামনগর রিফাইনারির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছি। এই বিশেষ দিনে দাদু ধীরুভাই আম্বানির কথা মনে পড়ছে। তাঁকে খুব মিস করছি। এই প্রকল্প তাঁর স্বপ্ন ছিল। হৃদয়ে লালন করতেন। আজ জামনগরে যা হয়েছে দেখলে তাঁর গর্ব হত।” বাবা মুকেশ আম্বানির নিষ্ঠা এবং লক্ষ্যের প্রতি অবিচল মনোভাবের কথাও তুলে ধরেন ইশা, “আমি বাবার সাহস, দৃঢ়তা এবং সংকল্প দেখে বড় হয়েছি। পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যা করা দরকার, তিনি সব করেছেন। আমার বাবা শ্রী মুকেশভাই আম্বানি একজন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ। সহনশীল এবং দৃঢ় সংকল্পের ব্যক্তি। যাঁর কাছে রিলায়েন্সের চেয়ে বড় কোনও কর্তব্য নেই, বাবার স্বপ্ন পূরণের চেয়ে বড় আর কিছু নেই। মূল্যবোধ তাঁর একমাত্র কম্পাস, যা তাঁর প্রতিটা সিদ্ধান্ত, প্রতিটা প্রচেষ্টার পিছনে থাকে।”
advertisement
আরও পড়ুন: বাতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? হাড়ে ব্যথা? এই শাক খেলেই দূর হবে সমস্যা
মুকেশ আম্বানির নেতৃত্ব এবং নীতিবোধের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে ইশার। অনুষ্ঠানে সে কথা খোলাখুলি স্বীকারও করেন তিনি। ইশা বলেন, “শুধু ব্যবসায়ী হিসেবে নয়, একজন পিতা, একজন পুত্র এবং একজন মানুষ হিসেবেও আপনি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগান। জামনগর এবং আপনি আমাদের দেখিয়েছেন, একসঙ্গে পথ চললে, আবেগ-উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে এগোলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। জামনগর হচ্ছে স্বর্গ। আমরা ভাগ্যবান যে জামনগরকে আমরা আমাদের বাড়ি বলতে পারি।”
এদিন শৈশবের দিনগুলোতে ফিরে যান ইশা। তিনি বলেন, “আজও মনে পড়ে, মায়ের হাত ধরে এখানে এসেছিলাম। তখন মরুভূমির মতো জমিতে জনপদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বাবাকে দেখতাম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে সবুজ, সমৃদ্ধ, সুন্দর এক শহর।” প্রসঙ্গত, জামনগর রিফাইনারির পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। যা আজও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের স্বপ্ন দেখার এবং আরও বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার ক্ষমতার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।