আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঠাঁই নেই: রামনবমীর মিছিলে হিংসা বিষয়ে দাবি যোগীর
জালিয়ানওয়ালাবাগ মেমোরিয়াল কমপ্লেক্সের একটি ভিডিওও শেয়ার করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই স্মৃতিসৌধটি গত বছরই উদ্বোধন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিলের সেই ১০ মিনিট আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর গল্প হয়ে উঠেছে, যার কারণেই আমরা আজ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করতে পারছি।”
advertisement
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্যান্য নেতারাও জালিওয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। গণহত্যাকে ‘বিদেশি শাসনের নির্মমতা এবং নৃশংস অত্যাচারের প্রতীক’ হিসাবে স্মরণ করেছে দেশবাসীরাও।
আরও পড়ুন- রাতভর আকাশে ঝুলে, জলের অভাবে বোতলে মূত্রত্যাগ করে পান! ভয়াবহ অভিজ্ঞতা পর্যটকদের
কী ঘটেছিল ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল?
ব্রিটিশরা জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করে একটি কঠোর সামরিক আইন জারি করেছিল। তা না জেনেই বৈশাখি উপলক্ষ্যে পঞ্জাবের অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারী এবং তীর্থযাত্রীরা জমায়েত করেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামী সত্য পাল এবং ডঃ সাইফুদ্দিন কিচলুর গ্রেফতারির নিন্দা জানিয়ে সমাবেশস্থলে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাতে ভিড় করেন বহু সাধারণ মানুষ।
কর্নেল ডায়ার যখন এই সমাবেশের কথা জানতে পারেন, তখন তিনি প্রায় ৫০ জন সৈন্য নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছন এবং জমায়েতের মানুষদের উপর গুলি চালাতে নির্দেশ দেন।
প্রায় দশ মিনিট ধরে গুলি চলে এবং প্রায় ১,৬৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়।
ব্রিটিশ সরকারের মতে, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডে ৩৭৯ জন মারা গিয়েছিলেন এবং ১,২০০ জন আহত হয়েছিলেন। যদিও স্থানীয় প্রতিবেদন বলছে, নিহতদের সংখ্যা ছিল প্রায় এক হাজার।
নির্বিচারে এই গণহত্যা ভারতীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয় এবং মহাত্মা গান্ধি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।