এইভাবে রাজস্থানেও বুলেট ট্রেনের স্বপ্ন সত্যি হবে। এই হাই স্পিড করিডোর প্রায় ৮৭৮ কিলোমিটার লম্বা হবে যেখানে বুলেট ট্রেন ৩৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলবে। ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সময় রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে জানিয়েছিলেন যে দিল্লি-আহমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডোরের বিস্তৃত ডিপিআর প্রস্তুত করা হয়েছে। এই রিপোর্টের বাস্তবতার অধ্যয়ন রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।
advertisement
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সময় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে জানিয়েছিলেন যে দিল্লি-আহমেদাবাদ হাইস্পিড রেল করিডোরের বিস্তারিত ডিপিআর প্রস্তুত করা হয়েছে। রিপোর্টের বাস্তবতার অধ্যয়ন রেল মন্ত্রকের দ্বারা করা হচ্ছে। তবে ডিপিআর-টি প্রকাশ করা হয়নি। রাজস্থানে বুলেট ট্রেনের হাই স্পিড ট্রায়াল ট্র্যাক তৈরি করা হচ্ছে।
রাজস্থানের এই জেলাগুলির মধ্য দিয়ে যাবে বুলেট ট্রেন
দিল্লি-আহমেদাবাদের মধ্যে ৮৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হাই স্পিড রেল করিডোর প্রস্তাবিত হয়েছে। এর ৭৫ শতাংশ অংশ রাজস্থান দিয়ে যাবে। অর্থাৎ বুলেট ট্রেন ৬৫৭ কিলোমিটার দূরত্ব রাজস্থানে অতিক্রম করবে। রাজস্থানের ৭টি জেলা আলওয়ার, জয়পুর, আজমের, ভিলওয়ারা, চিত্তোরগড়, উদয়পুর এবং দুঙ্গারপুরের ৩৩৫টি গ্রামের মধ্য দিয়ে হাই স্পিড রেল করিডোর যাবে। দিল্লি থেকে আহমেদাবাদের মধ্যে ১১টি স্টেশন প্রস্তাবিত হয়েছে যার মধ্যে সাতটি স্টেশন রাজস্থানে তৈরি হবে। এই স্টেশনগুলি উদয়পুর, দুঙ্গারপুর (খৈরওয়ারা), ভিলওয়ারা, চিতোরগড়, আজমেঢ়, কিষণগড়, জয়পুর এবং আলওয়ার (বেহরোড়)-এ তৈরি হবে।
যোধপুর বুলেট ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না
শতাব্দী, রাজধানী মতো দ্রুতগতির ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে যোধপুর, কিন্তু বুলেট ট্রেন প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। আহমেদাবাদ-দিল্লি বুলেট ট্রেন করিডোরের প্রাথমিক সমীক্ষা এবং ডিপিআরের চূড়ান্ত রিপোর্টে যোধপুর অন্তর্ভুক্ত নয়। যোধপুর রেল মণ্ডলে ৮০০ কোটি টাকার খরচে সারা দেশে একমাত্র ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ হাই স্পিড টেস্ট রেলওয়ে ট্র্যাক তৈরি হচ্ছে। মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেনও প্রথমে এখানেই চলবে। যোধপুর থেকে মুম্বই এবং দিল্লি যাত্রায় বর্তমানে ১১ থেকে ১৬ ঘণ্টা সময় লাগে।