কর ফাঁকির এই প্রবণতা রুখতে বড়সড় সুযোগ এনে দিয়েছে নোট বাতিলের ঘোষণা। বাজেট বক্তৃতায় এই প্রথমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা, নোট বাতিলের পর বড় অঙ্কের কালো টাকা জমা পড়েছে ব্যাঙ্কে। এর পুরোটাই করের আওতায় আসবে বলে ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর।
অগ্রিম আয়কর আদায় বেড়েছে ৩৪ শতাংশ
সার্বিক রাজস্ব সংগ্রহ বেড়েছে ১৭ শতাংশ
advertisement
গত অর্থবর্ষে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে আয়কর আদায় বাড়ে ৭ শতাংশ
রাজস্ব আদায় বেড়েছিল ১১ শতাংশ
নোট বাতিলের কারণেই যে এই বিপুল কর সংগ্রহ, তা ভালোভাবেই জানেন অর্থমন্ত্রী। আর এই খাতে কর সংগ্রহ বাড়বে ধরে নিয়েই আয়করে মধ্যবিত্তের জন্য ঘোষণা হল বড়সড় ছাড়। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে আগের থেকে কম টাকা আয়কর গুণতে হবে মধ্যবিত্ত ও চাকরিজীবীদের।
বাজেটে প্রস্তাব
২.৫০ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ - ৫ শতাংশ
৫ লক্ষ ১ টাকা থেকে
১০ লক্ষ -- ১০ শতাংশ
১০ লক্ষের বেশি - ৩০ শতাংশ
৫০ লক্ষের বেশি - বাড়তি ৩০ শতাংশ সারচার্জ
১ কোটির বেশি বাড়তি ১৫ শতাংশ সারচার্জ
আয়কর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে জবরদস্ত টোপ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। একদিকে সঞ্চয় বাড়ানোয় উৎসাহ দিয়েছেন, অন্যদিকে সেই টাকা বাজারে ফিরিয়ে আনারও ব্যবস্থা করেছেন।
করছাড়ের সুযোগ
৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে আয়কর লাগবে না
সেক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে ৮০ সি-তে
৭টি প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যাবে
ন্যাশনাল পেনশন প্রকল্প, জীবনবিমা, সরকারি সঞ্চয়, মাসিক আয় ও সঞ্চয় প্রকল্প, পরিকাঠামো ও রুপি বন্ড বিনিয়োগ করা যাবে
সবোর্চ্চ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করশূন্য হতে পারে
সেক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে গৃহঋণ ও ৮০ সিসি ধারায়
ভারতে করফাঁকির প্রবণতা মাথায় রাখতে হয়েছে অর্থমন্ত্রীকে। সেই ছবি তুলে ধরেই আয়কর প্রস্তাব পেশ করেন জেটলি।
আয়কর ছাড়ে খুব একটা বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না অর্থমন্ত্রীকে। বরং ছাড়ের টাকার কিছুটা বাজারে এলে বাজার তেজি হবে। ব্যাঙ্কে জমা হিসাব বহির্ভূত টাকা তো রয়েইছে।