এর আগে, ISRO বুধবার চন্দ্রযান-৩ মিশনের জন্য ‘মিশন রেডিনেস রিভিউ’ (MRR) করেছে। জাতীয় মহাকাশ সংস্থা একটি ট্যুইটে বলেছে, ‘MRR বোর্ড উৎক্ষেপণের অনুমোদন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে কাউন্টডাউন শুরু করা হবে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এই সপ্তাহে চন্দ্রযান-৩ মিশনের আগে ২৪ ঘন্টার একটি ‘লঞ্চ রিহার্সাল’-এর আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: টমেটো হবে সস্তা! কেন্দ্রীয় সরকারের বিরাট পদক্ষেপ, দাম কমবে অনেকটা
advertisement
চন্দ্রযান-৩ মিশনটি ১৪ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটার মহাকাশ কেন্দ্র থেকে লঞ্চ করা হবে এবং এর ল্যান্ডারটি ২৩ অথবা ২৪ অগাস্ট চন্দ্র পৃষ্ঠে ‘সফট ল্যান্ডিংয়’ অর্থাৎ ভাল ভাবে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চন্দ্রযান-৩ মিশন হল চন্দ্রযান-২-এর একটি ফলো-আপ মিশন। চন্দ্রযান-২ মিশনটি ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বরে চালু করা হয়েছিল। এটি চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদে অবতরণ করবে এবং প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কবে কমবে টমেটোর দাম? আসল খবর শুনলে মাথায় হাত পড়বে! জেনে নিন চটপট
প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান-২ মিশনের সময়, ল্যান্ডারটি সফট ল্যান্ডিংয়ে সফল হতে পারেনি। তাই চন্দ্রযান-৩ মিশন ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান, যা LVM-3 (লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-III) (আগে GSLV Mk-III নামে পরিচিত) দ্বারা উৎক্ষেপণ করা হবে। এটি তিনটি মডিউল- প্রপালশন, ল্যান্ডার এবং রোভারের সংমিশ্রণ। রোভারটি চন্দ্র পৃষ্ঠ স্ক্যান করবে, এটিকে ল্যান্ডারের ভিতরে মাউন্ট করা হয়েছে।
চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ স্থানের আশেপাশে চাঁদের রেগোলিথ, চন্দ্র ভূকম্পন, চন্দ্র পৃষ্ঠের প্লাজমা বায়ুমণ্ডল এবং মৌলিক গঠনের তাপ পদার্থগত বৈশিষ্ট্যগুলি পরীক্ষা করার জন্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করবে। ISRO আধিকারিকদের মতে, ল্যান্ডার এবং রোভারে এই বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলির সুযোগ ‘সাইন্স অফ দ্য মুন’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, অন্য একটি পরীক্ষামূলক যন্ত্র চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বর্ণালী-পোলারিমেট্রিক পরীক্ষা করবে। এটি চাঁদের কক্ষপথের অংশ। যা ‘সায়েন্স ফ্রম দ্য মুন’ থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।