নির্বাচন কমিশনের চেষ্টা, সেলিব্রিটিদের আবেদন সত্ত্বেও ভোট দিতে তেমন আগ্রহ দেখালেন না মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোটাররা। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টে ফের আরও একবার লজ্জায় মুখ ঢাকল গণতন্ত্র ৷ সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত হরিয়ানায় ভোট পড়েছে মাত্র ৬৩.৫৫ শতাংশ ৷ অর্থাৎ ৩৬ শতাংশেরও বেশি মানুষ নিজেদের সবথেকে বড় নাগরিক কর্তব্য পালনে ব্যর্থ ৷ এর আগে ১৯৬৮ সালে ভোট পড়েছিল মাত্র ৫৭.২৬ শতাংশ ৷
advertisement
মহারাষ্ট্রের মতদানের সংখ্যাও যথেষ্ট উদ্বেগজনক ৷ ভোট দিতে এলেন না গোটা রাজ্যের প্রায় অর্ধেক নাগরিক ৷ অর্থাৎ মহারাষ্ট্রের ভাগ্য নির্ধারণ হবে অর্ধেক নাগরিকদের ভোটে ৷ অর্থাৎ ৫০ শতাংশ জনমত প্রভাব ফেলল না ভোটবাক্সে ৷ মহারাষ্ট্রে সন্ধে অবধি ভোট পড়েছে ৫৬.৬৫ শতাংশ ৷ এর আগে ১৯৮০ সালের নির্বাচনেও মহারাষ্ট্রে ভোটদানের হার ছিল ৫৩.৩ শতাংশ ৷
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হরিয়ানায় ভোটদানের হার ছিল ৭০.৩৪ শতাংশ এবং মহারাষ্ট্রে ৬১.০২ শতাংশ ৷
হরিয়ানায় নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ১,৮৩,৯০,৫২৫ এবং মহারাষ্ট্রে মতদানের অধিকার রয়েছে ৮,৯৫,৬২,৭০৬ জনের ৷ ২০১৪ বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার হরিয়ানার ৯০টি আসনে ভোটগ্রহণের জন্য তৈরি ছিল ১৯,৪২৫ পোলিং স্টেশন, যা আগের থেকে ১৯.৬ শতাংশ বেশি ৷ একইভাবে এবছর মহারাষ্ট্রেও পোলিং স্টেশনের সংখ্যা আগের তেকে ৬.৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল ৷ ভোটারদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ৯০,৪০৩টি ভোটকেন্দ্র ৷ তাতেও বুথমুখো করা যায়নি ভোটারদের ৷ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে আয়োজিত গণতন্ত্রের উৎসব আসলে ব্যর্থ ৷ভোটদান আর এখন নাগরিক কর্তব্য নয, বাড়তি যন্ত্রণা, তার থেকে বরং একটা নির্মল ছুটির দিন উপভোগ অনেক ভাল, বর্তমান প্রজন্মের ভোটারদের মানসিকতা এমন বলেই মত ভোট বিশেষজ্ঞদের ৷
দুই রাজ্যেই ভোট ঘিরে বড় কোনও গন্ডগোল হয়নি। বেদ ও ঝালনায় এনসিপি ও শিবসেনা সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। রাজ্যেও ক্ষমতা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি।