কারাক্কড়ের এক জনপ্রিয় নেতা ছিলেন শ্রী ভগবদানন্দ গুরু (Sri Vagbhadananda Guru)। এক সময়ে তাঁর নেতৃত্বেই এলাকার নানা উন্নয়মমূলক কাজ হয়েছিল। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যেই গড়ে উঠেছে পার্কটি। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে পার্ক নিয়ে বিস্তারিত বর্ণণা দেওয়া হয়েছে। কেরলের পর্যটন মন্ত্রী নিজেও ফেসবুক (Facebook) ও ট্যুইটারে (Twitter) পার্কটির একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন। কেরালার কোঝিকড়ে অঞ্চিয়াম-নদপুরম রোডের পাশেই গড়ে উঠেছে এই পার্ক। খরচ হয়েছে প্রায় ২.৮০ কোটি টাকা। এই পার্ক গড়ে তোলার নেপথ্যে রয়েছে উরালুঙ্গাল লেবার কনট্রাক্টর কো-অপারেটিভ সোসাইটি (ULCCS)। রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিক সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার একটি প্রকল্প নিয়েছে। এক্ষেত্রে এলাকা বিশেষে তার সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে সেখানাকার পার্ক বা এই জাতীয় গণপ্রতিষ্ঠানগুলিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আর সেই প্রকল্পের অধীনেই গড়ে উঠেছে নতুন পার্কটি।
advertisement
এক্ষেত্রে পার্কের মধ্যেই হাঁটার ফুটপাথ, ব্যাডমিন্টন কোট, শিশুদের খেলার জায়গা, ওপেন স্টেজ-সহ একাধিক ব্যবস্থা রয়েছে। যাঁরা পার্ক ঘুরতে আসছেন, তাঁদের বিশ্রামের স্বার্থে রয়েছে ছোট ছোট ঘর। সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে টয়লেট, জলপানের জায়গা-সহ সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সর্বত্রই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
৫ জানুয়ারি পার্কটির উদ্বোধন হয়। তার পর থেকেই পার্কটির ছবি ভাইরাল হতে শুরু করে। কোঝিকড়ের একটি ছোট্ট এলাকার এই পার্কের ছবি দেখে সবাই রীতিমতো মুগ্ধ। পার্ক তৈরির পিছনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রশংসাতেও মুখর নেটিজেনরা। পার্কের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কমেন্ট বক্সে নানা তথ্য তুলে ধরেছেন তাঁরা। পার্কের ব্যবস্থাপনা ও গড়ে ওঠা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন IAS অফিসার পি বালা কিরণও।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশের কথায়, কেরলের এই পার্ক দেশের অন্য রাজ্যের কাছে একটি রোল মডেল। শহরাঞ্চলের সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই পার্ক।
উল্লেখ্য, পার্কের আশেপাশেই গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। পার্ক-সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি বাস স্টপ, মাছের বাজার ও প্রশস্ত রাস্তা। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পুরো পার্কটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে আশেপাশের এলাকায় ট্র্যাফিকের কোনও রকম সমস্যা না হয়!
